
করোনা মহামারির কারণে মানুষ যখন বিপর্যস্ত তখন প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ। করোনা মহামারীতে বিশ্বের মানুষ যখন ঘরবন্দী, তখন প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে তার সতেজ রূপ। মানুষও প্রকৃতির সুরক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে। এমনই বাস্তবতায় আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ বছর তাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রকৃতি সংরক্ষণের সময় এখনই’। এবারের প্রতিপাদ্যে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে লকডাউনে প্রকৃতি ও জলবায়ু ফিরেছে স্বমহিমায়। যা মানুষকে প্রাণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এ ধারা যাতে অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, এতদিন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ না করাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ে মানব সভ্যতাও। কিন্তু করোনা মহামারীতে মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়ায় স্বরূপে ফিরেছে জীববৈচিত্র্য। কমেছে বিষাক্ত সিসা ও শব্দের দূষণ। যা প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করে সুরক্ষিত করেছে প্রকৃতিকে।
বাংলাদেশের জলবায়ুবিদ, বুয়েটের গবেষক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করলে খাদ্য নিরাপত্তা, নির্মল পানি ও বায়ু নিশ্চিত হবে। যা মানুষ ও প্রাণীসহ ইকো-সিস্টেমের সুস্থ্যতায় বড় অনুষঙ্গ।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের গবেষক নাসির উদ্দিন বলেন, এবারের পরিবেশ দিবসকে কেন্দ্র করে প্রকৃতি ও প্রাণী সংরক্ষণে মানুষকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে আইনী উদ্যোগও নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।
তবে করোনা মহামারিতে প্রকৃতি সংরক্ষণের যে উপলব্ধি মানুষের হয়েছে, তা আগামীতে অব্যাহত থাকবে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তবে, পরিবেশবিদরা বলছেন, মানুষের জীবন বাঁচানোর তাগিদেই পরিবেশ রক্ষা করা প্রয়োজন, না হলে মানবজাতির ধ্বংসও অনিবার্য।