হাতি হত্যার ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি ভারতের

ভারতের কেরালায় গর্ভবতী বন্যহাতি হত্যার ন্যায়বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেরালায় হাতির অপমৃত্যুর তদন্ত হবে। ৪ জুন, বৃহষ্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এ তথ্য জানান। এতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা বিশ্ব জনমতের জয় হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, যেভাবে অন্ত:সত্ত্বা হাতিটিকে মারা হয়েছে, তা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ নয়। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, আপনাদের উদ্বেগ বৃথা যাবে না।

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বহু মানুষ এই হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সামাজিকমাধ্যমে বয়ে গেছে প্রতিবাদের ঝড়। নৃশংস ও অমানবিক এ আচরণে ছি ছি করেছে বিশ্ববাসী। এ কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে। একটা তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। পুলিশ ও বন দপ্তর একযোগে ওই ঘটনার তদন্ত করবে। ন্যায়বিচারের জন্য সরকার সবকিছু করবে।

খাবারের সন্ধানে কেরালার সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যান থেকে মল্লপুরমের লোকালয়ে এসেছিল অন্ত:সত্ত্বা ওই বন্যহাতি। গ্রামবাসী পটকা ভর্তি আনারস খেতে দেয়। তা মুখে নিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে আহত হাতিটি। যন্ত্রণা কমাতে ভেলিয়ারি নদীতে নেমে পড়ে হাতি। এর তিনদিন পর ২৭ মে মারা যায় হাতিটি।

ভারতীয় বনবিভাগ জানায়, গেল এপ্রিলেও একইভাবে ক্ষত নিয়ে মারা হয়েছিল আরো একটি হাতির। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, স্থানীয় কৃষকেরা বন্য শুয়োর থেকে ফসল বাঁচাতে ফলের ভেতর পটকা বেঁধে রাখে। ফসল খেতে গেলে পটকা ফাটলে বন্য শুয়োর পালিয়ে যায়।

কেরালার বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেনের কর্তা সুরেন্দ্র প্রধান জানান, প্রচলিত ওই রীতিতে সাধারণত যে ধরনের পটকা বাঁধা হয়, তা খুবই ছোট। এতে প্রাণীরা ভয় পেয়ে পালায়। সেসব পটকাবাজিতে বড় হাতির মৃত্যু অস্বাভাবিক। হাতিটির মৃত্যুর পেছনে বড় ধরনের বাজি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ।