করোনা ভাইরাসে থেকে বাংলাদেশের চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সুরক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রাণীদের প্রতি নজরদারিসহ নিয়মিত স্বাস্থ্যগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
যদিও এ দেশের কোন প্রাণী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেনি। তবে সরকারি ও বেসরকারি চিড়িয়াখানায় সংরক্ষণে থাকা প্রাণীদের খোঁজ-খবর রাখছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাণীবিদদের মতে, বিড়াল প্রজাতির প্রাণী যেমন বাঘ, সিংহ, মেছো বিড়াল, চিতা ও বনবিড়ালের মতো প্রাণীর করোনা ভাইরাসে ঝুঁকি আছে। তাই এসব প্রাণীসহ চিড়িয়াখানায় থাকা অন্যান্য প্রাণীদের সুরক্ষায়ও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণী চিকিৎসক নাজমুল হুদা।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক জানান, কর্মীদের স্বাস্থ্যগত পরিক্ষা করার পরই প্রাণীদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হচ্ছে। প্রাণীদের খাঁচাগুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখা ও বিশেষ স্প্রে করা হচ্ছে প্রতিদিনই। যাতে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকে চিড়িয়াখানা।
প্রাণীদের সরবরাহ করা খাবারের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানায় প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। কোন প্রাণীরা অসুস্থ হলে আলাদা খাঁচার ব্যবস্থাও করা হয়েছে চিড়িয়াখানায়। তবে বন্যপ্রাণী গবেষকরা বলছেন, কর্মী বা প্রাণী ও খাঁচা জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি প্রাণীদের জন্য আনা খাবারও জীবাণুমুক্ত করার পরই সরবরাহ করা উচিত।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বলেন, “নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শুধুমাত্র সুস্থ কর্মীদের বাঘ-সিংহকে খাবার দেয়া বা পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত করতে হবে। পাশাপাশি খাঁচা ও পানির পাত্র দিনে কয়েকবার জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
“সবচে ভালো হয় যদি প্রাণীদের খাবার হিসেবে দেয়া পশুগুলোকে জীবিত অবস্থায় পরীক্ষা করে সেগুলো করোনামুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এরপরও জবাই করা পশুর মাংস দেয়া ক্ষেত্রেও জীবাণুমুক্ত করতে হবে,” পরামর্শ দেন আদনান আজাদ আসিফ।