সাগরে লঘুচাপ: আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা জারি

উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিতে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫৪ দশমিক ৬ মিলিলিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পুরো জুলাই মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের (গড়ে ২০ দিনের বেশি) সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে জুলাই মাসের মাঝে ও শেষের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই শনিবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গত সপ্তাহের শেষের দিকে শক্তিশালী হওয়া নিম্নচাপ ওডিশার দিকে সরে যাওয়ার পর আবহাওয়া অফিসের নজর ছিল সাগরের উপর।

আবহাওয়া অফিস মতে, একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগর উপরে। পাশাপাশি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এর জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আগামী তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতাসহ, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি হবে। পরের দিকে পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া,বাঁকুড়া, বীরভূমেও ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে। তবে কলকাতায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।