উন্নত দেশগুলোতে শূকর ও গবাদি পশুর বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করে ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’। এসব খাবার খেলে মুরগির বাচ্চা দ্রুত বেড়ে উঠে। তাই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্ষতিকর পশুখাদ্য বা মৎস্যখাদ্য হিসেবে আমদানি করে আসছিল।
তবে এবার চট্টগ্রাম কাস্টমসের হাতে ধরা পড়েছে আমদানিকৃত ৮৫ টিইইউ’স ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’। বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির কমিশনার মো. ফখরুল আলম।
আটককৃত উপকরণগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় এগুলোকে আটক করা হয়েছে, উল্লেখ করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার।
বাংলাদেশের আমদানি নীতির শর্ত অনুযায়ীও, পশুখাদ্যে ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’ এবং ফিশ ফিডের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ‘নাইট্রোফুরান’ ও ‘ক্লোরামফেনিকল’ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস জানায়, ঢাকার মগবাজারের প্রমিক অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফিড প্রডাক্টস লিমিটেডের ২৫টি কনটেইনার, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আয়েশা করপোরেশনের ২৫টি কনটেইনার, মানিকগঞ্জের স্পেক্ট্রা ফিডস লিমিটেডের ১০টি কনটেইনারে আমদানি নিষিদ্ধ উপকরণগুলো ছিল।
ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া থেকে তিন প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৪০৯ টন পণ্য এসেছে। এরমধ্যে কিছু কনটেইনার খালাসও নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
তবে পণ্যগুলো বিক্রি বা হস্তান্তর না করার জন্য চিঠি দিয়েছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ, উল্লেখ করেন কমিশনার মো. ফখরুল আলম।
“আমাদের কাছে তথ্য ছিল। ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’ আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় ভিন্ন নাম ফিশ মিল বা ফিশ ফিড বলে আমদানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা,” বলেন ফখরুল আলম।
তিনি জানান, খালাস পর্যায়ে যেসব চালান ছিল সেগুলোকে বিন লক করার নির্দেশ দেয়া হয়। চালানের নমুনা কাস্টম হাউসের পরীক্ষাগারে করা হয় রাসায়নিক পরীক্ষা। যাতে পণ্যটিকে ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
কাস্টমসের তথ্যমতে, একই পণ্য ঢাকার আইসিডিডিআরবি এবং চট্টগ্রামের সিভাসুর পোল্ট্রি রিচার্স অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার পিআরটিসি-তে পাঠানো হয়। সেখানেও ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’ এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।