পোষা প্রাণীদের জন্যও বৃদ্ধাশ্রম

ওল্ডহোমে বসবাসরত বয়ষ্ক কুকুর কার্লিন। ছবি: সংগৃহীত

সকল প্রাণীই এক সময় বুড়ো বা বৃদ্ধ হয়। তখন বিশেষ সেবা বা যত্নের প্রয়োজনও দেখা দেয়। মানুষ এসব সুবিধা পেলেও প্রাণীরা থাকে উপেক্ষিত। তাই তো প্রায়ই বৃদ্ধ বা অসুস্থ পোষা প্রাণীকে ফেলে দেয়ার ঘটনা দেখা যায় হরহামেশাই।

কিন্তু মানবিকতা যারা উপলব্দি ও বিশ্বাস করেন, তারা তো থেমে থাকার নয়। তাই তো বেলজিয়ামে হেয়নু প্রদেশে উনিষ বছর ধরেই পরিচালিত হচ্ছে প্রাণীদের বৃদ্ধাশ্রম।

ভ্যালেরি লুইসিক্স নামের বেলজিয়ামের বাসিন্দা একজন মমতাময়ী নারী এটি প্রতিষ্ঠা ও দেখাভাল করছেন। আর বর্তমানে এনিমেল ওল্ড হোমটিতে সেবা পাচ্ছে ১৫০টি বয়স্ক প্রাণী।

বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বেলজিয়ামের হেয়নু প্রদেশের প্রত্যন্ত শেভর এলাকায় অবস্থিত প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রটি। স্থূলকায় পেটের শূকর, বয়স্ক বিড়াল, কুকুর, ঘোড়া এবং গৃহপালিত অন্যান্য প্রাণীও রয়েছে।

প্রাণীগুলো যেন জীবনের অন্তিম মুহুর্ত পর্যন্ত একটু প্রশান্তিতে কাটাতে পারে, তাই-ই উদ্দেশ্য আশ্রয়কেন্দ্রটির।

সংবাদে বলা হয়, প্রাণী নিবাসটিতে বসবাস করে ১৫ বছর বয়সী ইউরোপিয়ান বিড়াল আজুরিয়া এবং নয় বছর বয়সী কুকুর কার্লিন।

রয়েছে একটি ক্যালিন বিড়ালও, সে আবার ছবি তুলতে পছন্দ করে না। হাত বুলিয়ে আদর করলেই খুশি হয়। তবে নয় বছর বয়সী কুকুর সেইন্ট বার্নার্ড ছবির জন্য রীতিমতো পোজ দিচ্ছিল।

ভ্যালেরি লুইসিক্স জানান, ২০০০ সালে স্বামী সেরশের সহযোগিতায় বুড়ো পোষা প্রাণীদের জন্য চালু করেন আশ্রমটি। “আমরা এসব প্রাণীদের মাঝেই পারিবারিক আনন্দ পেতে চেয়েছি,” বলেন তিনি।

ভ্যালেরি জানান, প্রাণীগুলোর বেশিরভাগেরই স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে। এরমধ্যে অনেকেরই মালিকও এগুলোর পরিচর্যা করতে না পারায় ফেলে গেছেন।

বৃদ্ধাশ্রমটিতে বসবাসরত প্রাণীরা উন্নত খাবার, আবাস ও চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকে। আশ্রমটিতে প্রাণীরা একসঙ্গে খেলাধুলা করে সময় পার করে। কখনো শিশুদের মতো শুয়ে-বসে সময় কাটায়।