‘পাহাড়ে গাছ নিধন, আগামীর অশনি সংকেত’

রাঙ্গামাটি। ছবি: বেঙ্গল ডিসকাভার

অবাধে বৃক্ষ নিধন তিন পার্বত্য জেলার জন্য আগামী দিনের জন্য অশনি সংকেত, তাই এখন থেকে বনায়ন ও বন সংরক্ষণে জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

“বন বাঁচলে, পানি থাকবে, বাঁচবে জীববৈচিত্র্যম” উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে টেকসই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সেমিনারে এ কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে পানিসংকট তীব্র পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এখন থেকে উদ্যোগী না হলে, আমাদের জন্য ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। সুতরাং নিজেদেরকে বাঁচাতে হলে, এখন থেকে সচেতন হতে হবে। বনায়নে মনোযোগী হতে হবে, বনাঞ্চল সংরক্ষনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বন না থাকলে, পানিও থাকবে না আর পানি না থাকলে প্রাণীকুলের বিলুপ্তি ঘটবে।

নদী, ছড়া বা ডোবা রয়েছে সেগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার তাগিদ দেন বীর বাহাদুর। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পার্বত্যাঞ্চলের যেকোন বিষয়ে খুবই আন্তরিক। তার আন্তরিকতায় এ অঞ্চলে পানি সংকট দূর করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছি।”

“কাপ্তাই লেক এবং মাতামুহুরী ও সাংগু নদীতেও ড্রেজিং হবে। তবে এখানে মৎস্য এবং বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিগগিরই ড্রেজিং হবে,” যোগ করেন মন্ত্রী।

রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভোগলিক অবস্থা এমন যে এখানে অনেক সময় পানির লেয়ার কমে টিউবওয়েল ও রিং ওয়েলে পানি পাওয়া যায় না। নদী, ছড়া ও ঝর্ণাগুলোকে রক্ষার্থে বনায়নের কোন বিকল্প নেই।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার মত। রাঙামাটির বরকল উপজেলায় আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছি।

“সারাবিশ্বের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জীববৈচিত্র্যের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। বরকলে করা আমাদের একটি সমীক্ষায়, দুইশো দুই প্রকারের জীববৈচিত্র্যের সন্ধান মিলেছে,” উল্লেখ করেন পানিসম্পদ সচিব। আরো বলেন, “যদি আগামী পাঁচ বছর প্রত্যেকটি বাড়িতে ১০টি করে ফলজ গাছ লাগানো যায়, তবে ভবিষতে পানির অভাব দূর হবে। এর ফলে মানুষের আয়ও বাড়বে।”