জাতিসংঘের নদী সনদে বাংলাদেশকে অনুসমর্থনের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর ১৭ আগস্ট ‘নদী অধিকার দিবস’ হিসেবে পালন করছে বাংলাদেশের নদী সংরক্ষণকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।মূলত অভিন্ন নদীগুলোতে বাধাহীন পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ।

জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ সনদের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে বাংলাদেশে ‘রিভারাইন পিপল’ দিবসটি পালনে নেয় নানামুখী কর্মকাণ্ড। এ লক্ষ্যে ১৭ জুলাই, শনিবার ঢাকার লালমাটিয়ায় আয়োজন করে গোলটেবিল বৈঠক।

আলোচনায় জাতিসংঘ নদী কনভেনশনে বাংলাদেশ সরকারের স্বাক্ষর বাস্তবায়নের দাবি তুলে ধরেন আলোচকরা। তারা বলেন, জাতিসংঘ নদী কনভেনশনের প্রয়োজনীয়তা এ দেশের নদীর অধিকার নিশ্চিত করবে।

নদী গবেষক ম. ইনামুল হক বলেন, নদী অধিকার প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব, যদি নদীর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভৌগলিক রাষ্ট্র সীমানার স্বার্থের উর্ধ্বে হতে হবে। যেন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত না করে।

পাশাপাশি নদী দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নদী গবেষকরা। আলোচনায় বুড়িগঙ্গা নদীর বিগত ২৫ বছরের দখল-দূষণ ও পরিবেশগত অবস্থার নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক মোহাম্মদ এজাজ।

রিভারাইন পিপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ সনদ-১৯৯৭ সালের ২১ মে প্রস্তাব আকারে সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, ৩৫টি সদস্য দেশের অনুসমর্থনের ৯০ দিনের অব্যবহিত পর থেকে এটি কার্যকর হয়। ২০১৪ সালের ১৯ মে ভিয়েতনাম ৩৫তম দেশ হিসেবে সনদে অনুসমর্থনও করে। এতে ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট সনদটি কার্যকর হয়।

রিভারাইন পিপল জানায়, সনদটি কার্যকর হলেও বাংলাদেশ এখনো সনদে অনুসর্মন করেনি। তাই সরকারকে দ্রুত বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে আহবান জানায় সংস্থাটি। কারণ সনদটি আন্তর্জাতিক নদীর পানিপ্রবাহের ওপর ভাটির যে কোনো দেশের অধিকারের একটি রক্ষাকবচ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, হাওর অঞ্চলবাসী আন্দোলনের কো-অর্ডিনেটর জাকিয়া শিশির, বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সদস্য মিহির বিশ্বাস, জাকির হোসেন, সুমন শামস, মোহাম্মদ আলি, এডভোকেট আনোয়ার, আমির হোসেন প্রমুখ।