বাংলাদেশে সরকারি নির্দেশনা মতে, ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্ত চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী রানী রাজমনিঘাট দিয়ে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে স্থানীয় জেলেরা। পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় নির্দেশনা মানা হচ্ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি। কিন্তু এরইমধ্যে নৌযান নিয়ে সাগর মাছ ধরে আনছেন জেলেরা। প্রতিদিনই সাগর থেকে ধরে আনা হচ্ছে ডিমসহ ইলিশ মাছ। এ কাজে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সহযোগিতা করছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান কয়েকজন জেলে।
স্থানীয় জেলে মো. ফারুক বলেন, ”সাগরে ৬৫দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকাতে ৬সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সরকার জেলেদের যে ৫০ কেজি চাল দিচ্ছে তাতে কি সংসার চলে? আর সবাই তো চাল পাই না।”
তিনি জানান, “যারা নিবন্ধিত কার্ড করেছে তারা এসব চাল পাই।আমি নৌকা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে না গেলে সংসার চলে না, খাবারসহ নিজে চলতে সমস্যা হয়। তাই কি আর করা, সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছি।”
ইলিশ মাছ বিত্রিুতা ওবাদুল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলছে কিন্তু জেলেরা জাল নিয়ে সাগরে থেকে মাছ ধরে আনছে। আমরা ওদের থেকে কিনে নিয়ে এখানে বিত্রিু করেছি। ইলিশ মাছের সাইজ ও বেশ বড়, বেশ ডিমও আছে। আর দামও বেশ পাচ্ছি, প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।
সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর উপ পরিচালক মো: শরিফ উদ্দিন বেঙ্গল ডিসকাভার-কে বলেন, ”আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এরইমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করেছি। কিন্তু তারপরও কতিপয় জেলে সুযোগ বুঝে কাট্টলী এলাকায় সাগরের মোহনাতে গিয়ে মাছ ধরছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।”
”নিবন্ধিত জেলেদের সরকারিভাবে চাল দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করেও জেলেদের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে, যাতে তারা আর সাগরে মাছ ধরতে না যায়,” যোগ করেন শরিফ উদ্দিন।