বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভেসে আসছে শত শত প্লাস্টিক, ই-বর্জ ও ছেড়া জাল। ১২ জুলাই মধ্যরাত থেকে সাগর সৈকতে বর্জ্য আসার বিষয়টি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, ১১ জুলাই দিবাগত রাত থেকে ঢেউয়ের সাথে সাগর তীরে আসতে থাকে অগণিত বর্জ্য। সেসব বর্জ্যের মধ্যে থাকা জালে আটকে ছিল সামুদ্রিক কাছিমও। স্থানীয় মানুষেরা সাগর তীর থেকে রাতভর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন।
কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ বলেন, ”কক্সবাজার সৈকতের চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভেসে আসছে শত শত টন বর্জ্য। এগুলো কোথা থেকে আসছে তা জানা যাচ্ছে না।”
”তবে ধারণা করছি, সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে এসব বর্জ্য সাগরে ফেলা হয়েছে। না হলে এতো বর্জ্য আসার কথা না,” উল্লেখ করেন মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ।
বর্জ্যের মধ্যে থাকা জাল থেকে দশটি কাছিম অবমুক্ত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ”প্রশাসন এসব বর্জ্য অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাগরের জীব-বৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
সম্প্রতি কক্সবাজার সাগর সৈকতে একের পর এক সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনা বেড়ে চলেছে। এরমধ্যে ক্ষতিকর শত শত টন বর্জ্য আসার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে পরিবেশবাদীদের।
বঙ্গোপসাগর থেকে কক্সবাজার সৈকতে বর্জ্য আসার খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। সেসব স্ট্যাটাসের কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো।