২০১৯ সালে প্রাণ-প্রকৃতির যত সু:খবর

জল ময়ূর। ছবি: বেঙ্গল ডিসকাভার

পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু সংকট, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, আগ্নেয়গিরি ও বিস্ফোরণসহ ২০১৯ সালে প্রকৃতি ও প্রাণীজগতে দু:সংবাদের পাশাপাশি ছিল ভালো খবরও। সেসব সুসংবাদগুলো নিয়েই এই আয়োজন।

২৫ বছর পর ফিরে আসা বিষধর সাপ: ২৫ বছর আগে বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হওয়া বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার দেশের ১৯টি জেলায় দেখা মিলেছে।

বনবিভাগ জানায়, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা-আইইউসিএন এর রেড লিস্টেও তা প্রকাশিত হয়েছিল। বিলুপ্ত হওয়ার পর চন্দ্রবোড়া সাপ দেখা যাওয়াকে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণী গবেষকরা।

বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ

মৃত্যু থেকে ফিরে আসা জায়ান্ট কচ্ছপ: বিশালাকৃতির কচ্ছপ বা কাছিম। ১০০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে পাওয়া গেলো ইকুয়েডর উপকূল থেকে এক হাজার কিলোমিটার দুরে প্রশান্ত মহাসাগরের গ্যালাপাগোজ দ্বীপে।

সবশেষ ১৯০৬ সালে এই প্রজাতির কচ্ছপ দেখা যায় । এটির বয়স একশ বছর। এ প্রজাতির জীবিতদের মধ্যে এটিই একমাত্র নয়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আশপাশেই রয়েছে এমন আরো কচ্ছপ। সামুদ্রিক কচ্ছপের জন্য এটি অত্যন্ত ভালো সংবাদ। ১৯৭৩ সালে সংরক্ষিত প্রজাতি ঘোষণার পর থেকে সামুদ্রিক কচ্ছপের সংখ্যা বেড়েছে ৯৮০ শতাংশ।

ফিরে আসার তিমি: কুঁজো তিমির সংখ্যা বেড়েছে ৯৩ শতাংশ। ১৯৮০’র দশকে এই প্রজাতির তিমি হারিয়ে যাওয়ার যে আশংকা তৈরি হয়েছিলো। তবে আশার কথা হলো ২০১৯ সালে এই তিমি সংখ্যায় ছিল প্রায় ২৫ হাজারে।

শতবর্ষ জুড়ে তিমি শিকারের কারণে আটলান্টিকের দক্ষিণ-পশ্চিমে হারিয়ে যাচ্ছিলো প্রাণীটি। কিন্তু শিকারের প্রবণতা ২০১৯ সালে অনেকটাই বন্ধ হয়।

লোহিত সাগরের প্রবাল প্রাচীর: লোহিত সাগরের কোরাল প্রাচীর সংরক্ষণে জোট বেঁধেছে ইসরায়েল ও দেশটির আরব প্রতিবেশীরা। পর্যটকদের আধিক্য, সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে হুমকি মুখে ছিল কোরাল। সাগরের দক্ষিণে কিছু প্রাচীর ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যদিও উত্তরের দিকে থাকা কোরালগুলো ভালোই আছে। তবে ইসরায়েল, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব, ইয়েমেন, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সুদান মিলে তৈরি করবে রেড সি ট্রানজেশনাল রিসার্চ সেন্টার। যেটি পরিচালিত হবে সুইস ফেডারেল ইন্সটিউট অফ টেকনোলজিতে। এতে পরীক্ষা করে দেখা হবে কিভাবে কোরাল প্রাচীরের ক্ষতি রোধ করা যায়।

সবুজ হচ্ছে পৃথিবী: নাসা জানায় ২০ বছর আগের চেয়েও পাঁচ শতাংশ বেশি সবুজ হয়েছে পৃথিবীতে। বিশ্বজুড়ে নিবিড় কৃষিকাজ, ব্যাপক বৃক্ষ রোপণ হয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকা, ভারত ও চীনে।