বাংলাদেশের সীতাকুণ্ড উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তার দু’পার্শ্বে থাকা গাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ডাল ছাঁটাই করার নামে সড়ক বিভাগের কতিপয় ব্যক্তিরা গাছের মূল শাখাসহ কেটে ফেলছেন।
জানা গেছে, উপজেলাটির পৌরসভা এলাকার ইকো-পাকের্র গেইট থেকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পর্যন্ত থাকা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলার নির্দেশনা দেয় সড়ক বিভাগ। যেগুলোর মালিকানায় রয়েছে সরকার। কিন্তু ডাল ছাঁটাইয়ের পরিবর্তে নির্বিচারে শতবর্ষী নানা রকমের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার নির্দেশে গাছ নিধনের এই কর্মযজ্ঞে মেতেছেন কর্মীরা। পাশাপাশি কেটে ফেলা গাছগুলো গোপনে চলছে বেচা-বিক্রিও। এতে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে শোভা হারাচ্ছে সড়ক, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।
স্থানীয় বাসিন্দা আলা উদ্দিন ও জামশেদ বলেন, “ঝুলে থাকা ডাল কেটে ফেলার নামে বহু পুরনো কড়ই, আকাশ মনি, আম, কাঁঠালসহ নানা রকম ফলজ ও বনজ গাছের মূল ও শাখা কেটে ফেলা হচ্ছে। যেভাবে গাছের ডাল ছাঁটা হচ্ছে, এতে বেশির ভাগ গাছ মারা যেতে পারে।”
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের এস কে এম জুট মিলসের গেইট এলাকায় শতবর্ষী কড়ই গাছের মূল শাখাই কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া বাড়বকুণ্ড মান্দারী টোলা এলাকা থেকে ঢালী পাড়া পর্যন্ত মহাসড়কের পূর্ব পাশে থাকা গাছগুলোও কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা ডালগুলো ট্রাকে তুলে সরিয়ে নেয়ার চিত্রও দেখা যায়।
যোগাযোগ করা হলে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী-কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই।” তবে ঘটনার সত্যতা যাচায় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারি বৃক্ষ-পালনবিদ রফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, “ছোট ডাল-পালা কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন বড় ডাল ও মূল অংশ কাটার কথা নয়।” তিনিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।
“গাছের ডাল ছাঁটায়ের নামে মূল ডালপালা কেটে ফেলার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এনিয়ে আমিও ক্ষুব্ধ। ডাল ছাটায়ের নির্দেশ কে দিয়েছে তা আমার জানা নেই,” বলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী জুলফিকার।