সোনালী সিংহ তামারিন, নামে সিংহ হলেও মূলত এক ধরনের বানর প্রজাতি। শরীরের আকার ১০-১২ ইঞ্চি, ওজন আধা কেজির সামান্য বেশি। দেহ ও মুখের চারপাশে সিংহের মতো রয়েছে উজ্জ্বল সোনালী কেশর। এ কারণেই নামের সঙ্গে লায়ন বা সিংহ যুক্ত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বানরটির ইংরেজি নাম- Golden lion tamarin; বৈজ্ঞানিক নাম- Leontopithecus rosalia।
বিপন্ন বানর প্রজাতির মধ্যে এরা অন্যতম। ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের কোল ঘেঁসে খুব ছোট এলাকাজুড়ে প্রাণীটির বিচরণ ক্ষেত্র। বনাঞ্চলকে মানুষের আবাসস্হলে পরিণত করায় ধ্বংস হয়ে যায় তামারিন প্রজাতির বানরদের বিচরণক্ষেত্র। এতে প্রায় বিলুপ্তির মুখে চলে যায় প্রাণীটি।
১৯৯২ সালের এক জরিপ মতে, সে সময় মাত্র ৫৬২টি তামারিন পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকে ছিল। এক পর্যায়ে সেখান থেকে কমে তা সংখ্যায় ২০০তে নেমে আসে। এরপরই ব্রাজিল সরকার এবং কিছু সংগঠন তামারিনদের সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়।
বর্তমানে প্রাকৃতিক পরিবেশের সব অভয়ারণ্য মিলে প্রায় ১৪’শ তামারিন টিকে আছে পৃথিবীতে। প্রকৃতি সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইইউসিএন এর ২০১৫ সালের লাল তালিকায় বিপন্ন হিসেকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রাণীটিকে।
স্তন্যপায়ী প্রাণী তামারিন মূলত গাছেই বিচরণ করে বেশি। মাছ-মাংস, লতা-পাতা, ফুল-ফল, মশা-মাছি, মাকড়সা ও পাখির ডিম খেয়ে থাকে। প্রায় ১৫ বছর বেঁচে থাকে প্রাণীটি। চলাফেরায় অস্থির, দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে বেশি পছন্দ করে।
প্রজাতিভেদে আরো কয়েক প্রকারের তামারিন দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে- ইম্পেরার তামারিন, গোল্ডেন হেডেড লায়ন তামারিন, রেড হেডেড তামারিন এবং ব্ল্যাক তামারিন।