চট্টগ্রামের চাকতাই খালের অংশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ২২ জুলাই সোমবার বহদারহাট খালের অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
সিডিএ-এর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ারিং কোর।
জানানো হয়, খালের ওয়াল, নিচু ব্রিজ, রাস্তাসহ ভেঙ্গে উঁচু কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। একই সাথে ময়লা পরিস্কারের কাজ ও করা হচ্ছে।
বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী জানান, নগরীর ১৩টি খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে পর্যায়ত্রুমে। এতে রয়েছে বহুতল ভবনসহ ৩০০টি স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সরানো হবে।
চাকতাই খাল দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৮১ কিলোমিটার। বিএস সার্ভে অনুযায়ী, খালের ৮ দশমিক ১৩৭ একর জায়গা বেদখল রয়েছে। অবৈধ স্থাপনা প্রায় ৩৩০টি উপরে।
এর আগে রাজাখালি খাল ও নোয়াখালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাথে সমঝোতা স্বাক্ষর করেন ২০১৮ সালে। যার ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এদিকে পতেঙ্গা কর্ণফুলী নদীর পাড়েরও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ১৫ একর জায়গা উদ্ধার করে আমদানি রফতানি পন্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বন্দর টার্মিনাল নিমার্ণ করবে।
এ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ।