বাংলাদেশে সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদি পশু প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যানিরুপন, কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধ এবং দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদির অনুপ্রবেশবন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে বাংলাদেশে। আগে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৯২ হাজার।
“সারাদেশে কুরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তানিশ্চিতকরণের মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে,” বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়।
এবার সারাদেশে কুরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কুরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়। গেলো বছর ঈদে কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতন।
আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম মজুদ থাকবে। ঢাকায় ২টি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কুরবানির হাটবাজারেও ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী পশুব্যবসায়ীর নিকট থেকে চাঁদা আদায়সহ পশুবিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায়রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তানিশ্চিতকরণের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন।
তিনি সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষে সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতাও কামনা করেন।
