সৃষ্টির অনন্য এক নিদর্শন মা নদী হালদা

হালদা নদীতে চলছে ডিম সংগ্রহ। ছবি: বেঙ্গল ডিসকাভার

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র মা নদী হালদায় গতরাতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এখন হালদা জুড়ে চলছে রুই জাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহের মহোৎসব। একই সময়ে পূর্ণিমা, আমাবস্যা, মেঘের গর্জন, জোয়ার, মুষলধারে বৃষ্টি এসবই মা মাছের ডিম ছাড়তে যেন একই সুতোয় বেঁধেছে প্রকৃতি। সৃষ্টির এই মহিমা, এ অনন্ত প্রেমের সেতুবন্ধন রচনা করে চলেছে প্রকৃতি বহু শতাব্দী ধরে। এতেই রচিত হয় জীব-বৈচিত্রের খাদ্য-শৃঙ্খল, বাস্তুতন্ত্র, মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান আমিষের চাহিদা মেটানোর এক জৈব প্রক্রিয়া।

কদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অজানা শঙ্কার মাঝেও নিজে খুব উৎসুক ছিলাম প্রকৃতির প্রসব বেদনা অনুভবের জন্য, ক্ষণ গুনে গুনে নিশ্চিত হলাম ১৪২৭ বাংলার ৮ই জৈষ্ঠ্য শুক্রবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, অমাবস্যা এবং এর মাঝে বৃষ্টির ছন্দ, মেঘের গর্জন, জোয়ারের উচ্চতা, মা মাছের ডিম ছাড়ার তাড়না- সে এক অন্য রকম অনুভূতি।

কিন্তু শত আশার মাঝেও হারিয়ে যাই নিরাশার দোলাচলে, খেয় হারিয়ে প্রকৃতির হয় ছন্দ পতন, হাজারো সমস্যা সঙ্কুল হালদার ভয়াবহ ঝুঁকির চিত্র যখন মানসপটে ভেসে উটে। যার প্রতিটি মানবসৃষ্ট কারনে তিল তিল করে মৃত্যুর পদযাত্রী উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা। অথচ যুগে যুগে মুনিঋষি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন ” স্রষ্টার প্রতিটি সৃষ্টিকে ভালবাসার মাঝেই খুজে পেতে পারেন স্রষ্টাকে।

কে শুনে কার কথা, নগরায়ন, শিল্পায়ন, দূষণ, দখল, বাড়তি জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপে যে সব সমস্যায় জর্জরিত হালদা। সেই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে উটে এল ভয়াবহ চিত্র হালদায় ৭৫ বছর আগের তুলনায় গত বছর রেনু উৎপাদন কমেছে ৯৬ ভাগ। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র মা নদী হালদার এই নির্মম পরিণতি অনুসন্ধান করতে গিয়ে অগণিত খদ্দের ও রূপবতী কিশোরীর করুণ আর্তনাদের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। হালদা নদীর জৌলুস ঐতিহ্য ভৌত রাসায়নিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্যের ঝুঁকিগুলো তুলে ধরলাম আজকের লেখায়।

অপরিকল্পিত পানি উত্তোলন

প্রতিদিন চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ রাসেল পানি শোধানাগারের মাধ্যমে মহানগরীর জন্য হালদা নদী থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করে নদীর জলজ খাদ্য শৃঙ্খল ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।

সুয়ারেজ ও গৃহস্থালি বর্জ্যের দূষণ

চট্টগ্রাম মহানগরীর ৭০ লক্ষ মানুষের প্রতিদিন ৩০ কোটি লিটার সুয়ারেজ বর্জ্য ও গৃহস্থালি বর্জ্য এবং পরিষ্কারক সামগ্রীর বর্জ্য সরাসরি কর্ণফুলী ও হালদায় গিয়ে মিশছে উপখাল ও ছড়াগুলোর মাধ্যমে।

শিল্প বর্জ্যের দূষণ

প্রতিদিন চট্টগ্রামের কালুরঘাট, কুলগাওঁ , শেরশাহ- বায়েজিদ শিল্প এলাকা, হাটহাজারী, নাজির হাট, মদুনাঘাটের শত শত শিল্প ও ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্টানের অপরিশোধিত কয়েক কোটি লিটার রাসায়নিক বর্জ্য প্রতিদিন হালদা নদীর ২০টি উপ-খাল এবং ৩৪টি ছড়ার মাধ্যমে হালদা নদীতে ফেলা হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগ ইটিপি নেই, আর যাদের ইটিপি আছে তারাও বেশিরভাগ সময় ইটিপি বন্ধ রেখে সরাসরি অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে ফেলেন।

অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন

হাটহাজারী, মদুনাঘাট, কালুরঘাট, রাউজানের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন ১ লক্ষ ২৯ হাজার বর্গফুট বালু তোলা হচ্ছে, যা বিভিন্ন সময়ে গবেষণা রিপোর্টে উটে এসেছে।

অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের দূষণ

হালদা নদীর পাড়ে অবস্তিত গুয়াং ডং পিকিং ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্প, যার অবস্থানগত ছাড়পত্র নেই ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই এবং ইটিপি ও নেই সেই গুয়াংডং পিকিং পাওয়ার প্লান্টের অয়েল ফার্নেস সহ কঠিন বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম হালদা নদী ।

তামাক উৎপাদনে দূষণ

হালদার উজানে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি সহ বিভিন্ন অঞ্চলে দুপাড়ে শত শত একর তামাক ক্ষেতের সার,কীটনাশক ও তামাক ধুয়ায় চুইয়ে পড়া বিষাক্ত নির্যাস যা নদীর পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে। বৃষ্টির সাথে সাথে মা মাছ ডিম ছাড়বে আর সেই সাথে নদীর পানিতে উজান থেকে নেমে আসবে তামাকের বিষাক্ত পানি। যা ডিম পোনা ও রেনু পোনার স্বাভাবিক জীবনকে অস্বাভাবিক বিপর্যয় ঘটায় এবং মৃত্যুর হার বাড়ায়।

ইট ভাটার দূষণ

হালদার অভয়াশ্রমে চৌদ্দটিসহ দু’পাড়ে অর্ধশত ইট ভাটায় পুড়ানো কয়লার সালফার ও হেভী মেটালের কারনে বিষাক্ত হয়ে উটেছে হালদার পানি। সেই সাথে নদীর তীরের কৃষি জমির টিপ সয়েল ও তলদেশের মাটি পুড়ে বানানো হচ্ছে ইট। এতে ব্যবহার হচ্ছে নদীর লক্ষ লক্ষ গ্যালন পানি।

পোল্ট্রী শিল্পের দূষণ

হালদার নদীর উজানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, রাউজান, হাটহাজারীতে গড়ে তোলা শত শত পোল্ট্রি শিল্পের হাজার টন পোল্ট্রি বর্জ্য, যা মা মাছের ডিম পাড়া শুরু করার সাথে সাথে বৃষ্টির পানির সাথে নদীতে আছড়ে পড়বে ! মারাত্বক দূষনে আক্রান্ত করবে ডিম পোনা ও নদীর অবশিষ্ট রেনু পুনাকে।

উজানে বাঁধ ও রাবার ড্যাম স্থাপন

ব্যাপক কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে নাজিরহাট ও ফটিকছড়ির ভুজপুরের আমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অধীনে রাবার ড্যামসহ ২০ টি উপ খাল ও ৩৪ টি ছোট বড় ছড়ার পানি আটকে গড়ে তোলা অসংখ্য ছোট বড় বাধের দূষিত পানি এবং কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বদ্ধ পানি যা বৃষ্টির পানির সাথে নদীতে আঁচড় পড়বে মা মাছ ডিম পাড়ার সাথে সাথে। অথচ গৃহস্থালী ও সুয়ারেজ বর্জ্য মিশ্রিত দূষিত বদ্ধ পানি ডিম পোনা ও রেনু পোনার জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।

পোনা আহরণ

কর্ণফুলীর মুখ থেকে মাদারী খালের মুখ পর্যন্ত বছরের নির্দিষ্ট চার মাস যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের অর্ধ সাহস্রাধিক মানুষের গলদা চিংড়ির পোনা আহরনের নামে হালদার অন্যান্য মাছের পোনা ধ্বংস করা। এতে রেনু উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে।

হালদার উৎপত্তি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়নগরের পাহাড় হতে সৃষ্ট হয়ে এ নদী পার্বত্য চট্টগ্রাম-ফটিকছড়ি-রাউজান-হাটহাজারী-কালুরঘাট নামক স্থানে হালদা কর্ণফুলী নদীর সাথে মিশেছে। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫ কিলোমিটার।

মাছের ন্যাচারাল মেগা ইন্ডাস্ট্রি হালদা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) পোনার জন্য এ নদীর আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য থাকলেও রুই জাতীয় মাছের পরেই অন্যতম পোনা উৎপাদন হয় মিঠাপানির গলদা চিংড়ির, সেই সাথে আরো অসংখ্য প্রজাতির মাছ ও ডলফিনসহ জলজ জীববৈচিত্র্যের প্রজনন ঘটে।

বিশ্বে বিপন্ন প্রায় ১১০০-১২০০ প্রজাতির মিঠা পানির ডলফিনের ২০০-২৫০ প্রজাতির ডলফিনের উপস্থিতি ছিল হালদা নদীতে। পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। ডিম থেকে উৎপাদিত রেনু পোনা থেকে মাছ হিসাবে খাবার টেবিলে আসা পর্যন্ত দেশের মৎস্য খাতে হালদা নদী চার ধাপে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে।

হালদা সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ

হালদা নদীকে মা মাছের অভয়শ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্যে হালদা নদীর নাজিরহাট থেকে নগরীর মোহরা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটিতে সারাবছর মাছ শিকার নিষিদ্ধ। পাশাপাশি নিষিদ্ধ আছে হালদার সাথে সংযুক্ত খালগুলোতে মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুমের ছয়মাস মাছ শিকার। মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুমে নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট ব্রীজ পর্যন্ত হালদা নদীতে যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে মৎস্য মন্ত্রণালয়।

হালদা পুনরুদ্ধারের নামে যুগে যুগে ভুল ও মনগড়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে হালদা পুনরুদ্ধারের পরিবর্তে ধ্বংস হওয়ার পথে। বিগত সময়ে যাতায়াতের সুবিধার অজুহাতে ১১টি বাঁক কেটে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হালদার নিরাপদ মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রকে। ১৯২৮ সালে মাসুদা ঘোনা ও ১৯৪৮ সালে শিবাতলী বাঁক কেটে নদীর দৈর্ঘ্য ১৫-২০ কিলোমিটার কমে গেছে।

রুই জাতীয় মাছগুলো অন্যান্য নদী থেকে মাইগ্রেট করে হালদা নদীতে আসে ও হালদার বাঁকগুলোতে ডিম ছাড়ে। বাঁকের পানি ওলট পালটের মাধ্যমে মা মাছের সাথে পুরুষ মাছের শুক্রাণু ভালোভাবে মিশ্রিত হয়। কিন্তু বাঁক কেটে নদীর স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় মা-মাছের নিরাপদ প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ডিম সংগ্রহেও অসুবিধা দেখা দিয়েছে। আর এতে মা মাছের অভয়াশ্রম ধ্বংস ও হালদার ইকোসিস্টেমের পরিবর্তন, ভূমিক্ষয় ত্বরান্বিত, পানির খাদ্য শৃঙ্খল পরিবর্তন এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের পাশাপাশি নদীর জীববৈচিত্র্যও মারাত্মক হুমকির মুখে।

হালদা নদী থেকে আহরণ করা পোনা। ছবি: বেঙ্গল ডিসকাভার

হালদার মাছ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৎস্য বিজ্ঞানীদের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকারভেদে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কীটনাশক মাছের দেহে পুঞ্জীভূত বা শোষিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মাছের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বৃক্ক, যকৃৎ, ফুলকা, পাকস্থলী, মস্তিস্ক, ত্বক ও মাংসপেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে। কীটনাশক ও রাসায়নিক বর্জ্যের কারণে হালদার মাছের পরিপক্কতা ও প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ৪০ কেজি ডিম পোনা থেকে ১ কেজি রেনু উৎপাদন হয়। আর এককেজি রেনু থেকে প্রায় ৫ লাখ পোনা উৎপাদন হয়। ডিম ছাড়ার উপযোগী প্রতিটি মাছের ওজন সর্বনিম্ন পাঁচ কেজি থেকে সর্বোচ্চ এক মন পর্যন্ত হয়। একটি মা মাছ একসাথে ৫ লাখ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়ে। একটি পাঁচকেজি ওজনের মা মাছ থেকে বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।

গুণগত গবেষণা, সঠিক তথ্য-উপাত্ত ও প্রচারের অভাবে এখনো হালদা নদীর জাতীয় ঐতিহ্য সম্পর্কিত পরিচয় সবার দৃষ্টির আড়ালেই রয়ে গেছে। অথচ হালদা নদীর মাছের বৃদ্ধির হার অন্যান্য উৎস থেকে উৎপাদিত মাছের বৃদ্ধির হারের চেয়ে ভাল হবার কারনেই এক সময় ভারত ও মিয়ানমারে প্রচুর পরিমাণ হালদা নদীর পোনা রফতানি হতো। আর এখন ভারত ও মায়ানমার থেকে এদেশে আস্ত মাছ আমদানি হয়।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে লবণাক্ত পানির আগ্রাসন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের দূষণ, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ নির্মাণ, নদীর দু’পাশের উপ-খালসমূহে অপরিকল্পিত স্লুইস গেইট নির্মাণে বিপন্ন বিপর্যস্ত উপমহাদেশের অন্যতম এই প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। তাই ১৫ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হলেও হালদা নদীতে মিঠা পানির ডলফিনসহ ৬০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। যাদের রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ না নিলে মৎস্য প্রজননের প্রাকৃতিক এই ভান্ডার হয়ত নীরবেই হারিয়ে যাবে।

লেখক:পরিবেশ সংরক্ষক ও সংগঠক, বাংলাদেশ।

***প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য বেঙ্গল ডিসকাভার কর্তৃপক্ষ লেখকের মতামতের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।