বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন অন্তত ৩০ পর্যটক। স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়েছে, পাহাড়ী ওই অঞ্চলে মোবাইল যোগাযোগ না থাকায় আটকে পড়াদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকরা কী অবস্থায় আছে, তা জানতে না পারায় উৎকণ্ঠায় পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, টানা বর্ষণে গেলো চারদিন ধরে শঙ্খ নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে দুর্গম থানচি উপজেলার সঙ্গে রেমাক্রি, তিন্দু, ছোট মদক ও বড় মদক এলাকার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আর পাহাড়ি পথে চলাচল বিপদজনক হওয়াতে থানচির পর্যটন রুট জিন্না পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আসা পর্যটকরা আটকা পড়েছেন।
স্থানীয় গাইডরা জানান, আটকে পড়া পর্যটকের সংখ্যা ৩০ জনের বেশিও হতে পারে।
থানচি ও রুমার উপজেলা প্রশাসন বলছে, শঙ্খ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়াতে নৌ-পথে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই গেলো শুক্রবার থেকে থানচির রেমাক্রি, তিন্দু,বড়পাথর, নাফাখুম ও রুমার তিনাপসাইতার, বগালেক, কেওক্রাডংসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটক যাতায়তে বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
ঢাকা ট্রিবিউনের এক সংবাদে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়েরুল হকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, থানচির জিন্নাহ পাড়ায় ২৫ জন পর্যটক অবস্থান করছিল। এরমধ্যে আজ সোমবার সন্ধ্যায় চারজন থানচি সদরে ফিরে আসে। রেমাক্রিতে আরো পর্যটক আটকা পড়তে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল জানান, পাহাড়ে ভারী বর্ষণ শুরুর আগে ওই পর্যটকদের তিনটি দল, মোট ২৫ জন তিন্দু, রেমাক্রি, নাফাখুম হয়ে আরো দুর্গমে বেড়াতে যায়। পরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে থানচি উপজেলা সদরে এখনও ফিরতে পারেনি তারা।
প্রসঙ্গত, টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র।