
বেড়েছে বাঘ হত্যা ও পাচারের সংখ্যা। নতুন এক জরিপে, একবিংশ শতাব্দীতে দুই হাজার তিনশো বাঘ হত্যা ও পাচারের তথ্য উঠে এসেছে। ২০ জুলাই মঙ্গলবার ‘ট্রাফিক’ নামের আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার জরিপে এ তথ্য জানানো হয়-খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এতে বলা হয়, ২০০০-২০১৯ সাল পর্যন্ত- ১৯ বছরে হত্যা ও পাচার করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। জরিপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯০০ সালে বিশ্বে বাঘ ছিল এক লাখেরও বেশি। কিন্তু ২০১০ সালে কমে এসেছে তিন হাজার দুইশো। এরপরও কিছু বাঘ বাড়লেও আবারো আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বাঘ শিকার ও পাচার।
“বাঘের সংখ্যা এভাবে কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। বাঘকে রক্ষার লড়াইয়ে আমরা হেরে যাচ্ছি,” বলেন ট্রাফিকের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পরিচালনা বিভাগের প্রধান কনিতা কৃষ্ণস্বামী।

তিনি বলেন, “কথা বলার সময় শেষ। এখন বাঘের সংখ্যা যাতে না কমে সেজন্য কথাকে কাজে পরিণত করতে হবে।”
বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩ হাজার ৯০০টি বাঘ টিকে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে ট্রাফিক। সংস্থাটি জানায়, গেলো ১৯ বছরে বিশ্বের ৩২টি দেশ থেকে পাচার করা দুই হাজারের মতো বাঘ জব্দ করা হয়।
ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, মূলত বাণিজ্যের উদ্দেশ্যেই বাঘ পাচার করা হয়। পাচারকারীদের কাছে বাঘের দেহের সবচে লাভজনক অংশ চামড়া। প্রতিবছর গড়ে ৫৮টি বাঘের শরীরের পুরো চামড়া জব্দ করা হয়।
প্রতিবেদনে বাঘ পাচারের নেপথ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাঘ প্রজনন কেন্দ্রগুলোরও বিশেষ ভূমিকা আছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রজনন কেন্দ্রগুলো বাঘ সংরক্ষণে তেমন উদ্যোগী নয় বলেও অভিযোগ করা হয় এতে।