আবর্জনায় বন্ধ হয়েছে পানিপ্রবাহ, লেকের ওপর গড়ে উঠেছে দোকানপাট। যদিও এরইমধ্যে লেকের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বলা হচ্ছে নতুন প্রকল্পের কথাও। কিন্তু দখল, দূষণ আর অব্যবস্থাপনায় এখন মৃতপ্রায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা লেক।
সময় টিভির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, লেকটির বর্তমান অবস্থা দেখতে অনেকটাই অপরিচ্ছন্ন খেলার মাঠের মতো। দখল, দুষণ আর অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে দিয়াবাড়ি হয়ে ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টর ঘেষে যাওয়া লেকটিতে। কোথাও গড়ে উঠেছে টং দোকান, কোথাও আবর্জনায় বিলীন হয়ে মাঠে পরিণত হয়েছে লেক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সাড়া মেলেনি। দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেছে লেকটি। পরিবেশবিদরা বলছেন, ভুল পরিকল্পনায় জলাধার নষ্টের চরম মূল্য দিতে হবে উত্তরাবাসীকে।
বাংলাদেশের নদী গবেষক মোহাম্মদ এজাজ জানান, এক সময়ের কানাই নদী পরিকল্পনার ভুলে উত্তরা লেকের রূপ নেয়। জলাধার হারানোয় এ এলাকায় স্থায়ী জলজটের আশঙ্কার করছেন তিনি।
এজাজ বলেন, “ঢাকার যতগুলো বড় বড় ওয়েট ল্যান্ড ভরাট করার পরিকল্পনা রয়েছে, রাজউক যে প্ল্যান করেছে এরমধ্যে উত্তরা লেক একটি। উত্তরা প্ল্যানিং করার সময় ওয়েট ল্যান্ডকে বিবেচনা করে করা হয়নি, এ খাতটাকে আমরা নষ্ট করে দিলাম, দ্বিতীয় বসবাসের জন্য পানি বের হওয়ার কোনো পথ রাখা হয়নি।”
এদিকে উত্তরা লেককে হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন করে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন রাজউকের উত্তরা লেক প্রকল্পের প্রকৌশলী মো.মনিরুল হক। লেকের উন্নয়নে রাজউক এরইমধ্যে ২৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। আবার ১১১ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
আবর্জনায় পরিপূর্ণ রাজধানীর উত্তরা লেক। এ লেকের উন্নয়নে ২০১৪ সালে রাজউকের নেয়া ৩৭ কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। কিন্তু তার কোনো ছোঁয়া লাগেনি লেকের আরেক অংশে। শিগগিরই এ লেক উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
