না জেনেই ‘প্লাস্টিক-বিষ’ খাচ্ছেন মানুষ! (ভিডিও)

পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক। কিন্তু এ প্লাস্টিক এখন মিশে যাচ্ছে মানুষের খাবারেও। মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণা বলছে, পানিতো বটেই, মাছ কিংবা শাকসবজির মাধ্যমেও প্লাস্টিক প্রবেশ করছে মানবদেহে। মোড়কজাত খাবার বা প্রসাধনীর মাধ্যমেও প্লাস্টিক ঢুকে যাচ্ছে খাদ্যচক্রে। ফলে বেড়েই চলেছে ক্যান্সার ও হার্ট-অ্যাটাকের মতো রোগ।

পাশাপাশি অপচনশীল প্লাস্টিক পণ্য নষ্ট করছে জমির উর্বরতা নদীপ্রবাহ থমকে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে সমুদ্রও। ভেঙে পড়ছে প্রতিবেশ ব্যবস্থা। বাজারের প্রায় সকল পণ্যের সঙ্গেই রয়েছে প্লাস্টিকের সম্পর্ক। এতে মারাক্তক পরিবেশ দূষণ হলেও তবুও বহুজাত প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহ করছে প্লাস্টিকের মোড়কেই। কিন্তু কতটা স্বাস্থ্যসম্মত প্লাস্টিকে মোড়ানো খাবার?

পরিবেশবাদী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডোর) গবেষণা বলছে, মাটি ও পানিতে মিশে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা শাকসবজি ও মাছে ঢুকে যাচ্ছে। মোড়কজাত করার সময়ও খাবারে মিশছে প্লাস্টিক। এছাড়াও প্রসাধনীতে অবৈধভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহারের তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়।

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, যখন প্লাস্টিক মাটিতে মিশে যায় তখন শাক সবজি বা ফসল এটাকে পুষ্টি হিসেবে গ্রহণ করে। আর আমরা সেটা খাই। অর্থাৎ এটা পরোক্ষভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। আর বাজার থেকে কিনে আনা প্যাকেজিং খাবার যেমন বিস্কুটসহ অন্য যে কিছুই হতে পারে। এটিও প্রবেশ করছে মানুষের শরীরে।

খাদ্যচক্রে প্লাস্টিক প্রবেশের কারণেই অ্যালার্জি, কিডনি ও লিভারে ক্যান্সার এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো ব্যাধির হার বাড়ছে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার। তিনি বলেন, কোথাও প্লাস্টিকের সংমিশ্রণ থাকলে তা শরীরে নানা রোগ সৃষ্টি করে। এটি কিডনি ও লিভার সমস্যাসহ ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তর মতে, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিএসটিআইয়ের আওতাধীন হলেও খাদ্য উৎপাদনে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোয় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

“খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়টি সরাসরি আমাদের কাছে আসে না। কিন্তু লিখিত আবেদন করেও এনিয়ে কথা বলা যায়নি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই’র কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে,” বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহমদ।