পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উৎপত্তি হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হওয়া সাতটি নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ হয়নি এখনো। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদীগুলোর পানি প্লাবিত করে দু’কূলকে, দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে জনজীবনে।
এ বছর কয়েকটি নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপৎসীমা পেরিয়ে, যা অতিক্রম করেছে গত ২০ বছরের রেকর্ডও।
ভারী বৃষ্টিপাতে আতঙ্ক বিরাজ করে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বঙ্গোপসাগরে মেশা সাঙ্গু নদীর দুই তীরের জনজীবনে। এবার টানা ১০ দিন ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রামে।
এতে ১২০ মিটার চওড়া আর ২০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নদীটির দুই তীরে আতঙ্ক আরো ব্যাপক।
বাসিন্দারা বলছেন, এবারের মত খারাপ পরিস্থিতি গত কয়েক দশকে হয়নি। বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চল এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের ৯০ শতাংশ এখনো পানির নীচে।
ভারত ও মিয়ানমারের পর্বতমালা থেকে নেমে আসা, কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, ইছামতি, বাকখালি ও ফেনী নদীর দুই পাড়ের চিত্র কম-বেশি একই রকম।
কোন নদীর তীরেই নেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পাহাড়ী ঢলের সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয় ভাঙ্গন।
এ বছর সবচে বেশি আক্রান্ত সাতকানিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম চৌধুরী জানান, ভাঙ্গনরোধে কিছু পদক্ষেপ চলমান থাকলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ না থাকায় মিলছে না সুফল।
গেলো রোববার সাঙ্গু নদীর বান্দরবান পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার সোয়া তিন মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই নদীর প্লাবনের কারণে সাতকানিয়া-বান্দরবান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায় প্রতি বছরই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মতে, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী নিয়ে শুরু হয়েছে জরিপ। যা শেষ হলে প্রতিবেদন ওপর ভিত্তি করে নদীগুলোর বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
“খরস্রোতা এই নদীর কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করতে হবে, সেই সাথে নিতে হবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যার জন্য একটি জরিপ শুরু হয়েছে,” জানান পানি উন্নয়ন র্বোড চট্টগ্রামের নির্বাহি প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা।