বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সোমবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আজ সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটি ১৭০ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সীতাকুণ্ডে ১৬৮ ও চট্টগ্রামে ৭৪ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
‘আগামী দুইদিন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে’ জানান তিনি।
চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। গত দুদিনে ৮৪টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আপতত পরিবারগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল ও ডালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে নিজ উদ্যোগে সরে যেতে করা হচ্ছে মাইকিংও।
অন্যদিকে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কবলে পর্যটন শহর কক্সবাজারও। দিনে ও রাতে কখনো মুষল ধারে, আবার থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে প্রায় সব এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নর্দমায় জমে থাকা ময়লা-আর্বজনা পরিস্কার না করা এবং ক্ষত-বিক্ষত সড়ক, উপ-সড়কের কারণে এ হাল। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এবার দুর্ভোগে পড়বেন মানুষ।