কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ফাইল ছবি

পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে ও সুয়ারেজ প্ল্যান্ট না করেই বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। সোমবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এই রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পানিসম্পদ সচিবসহ ২২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার জেলা সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু, চকোরিয়া, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় উন্নয়ন বহির্ভূত ও সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চল দখল থেকে বিরত রাখতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

তিনি জানান, ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ দখল, নির্মাণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দূষণ, পৌর বর্জ্য ও ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বৈআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির টাস্কফোর্সের সভায় কক্সবাজারের সংরতি এলাকায় ১০তলা সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন স্বেচ্ছাচারি ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ প্ল্যান্ট ছাড়া কক্সবাজার পৌর এলাকায় হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা, মার্কেট ও বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ এবং কক্সবাজার পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।