চট্টগ্রামে জন্ম নিল পাঁচটি বাঘ, মারা গেল দু’টি!

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা বাঘিনী পরী’র তিনটি শাবক।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত ফয়স লেক চিড়িয়াখানায় পর পর দুদিনে জন্ম নেয় পাঁচটি বাঘ শাবক। তবে মারা গেছে দু’টি বাঘ শাবক। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বাঘিনী দুধ পান করতে না দেয়ায় মারা যায় শাবক দু’টি।

১০ মে, সোমবার চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার শাবকগুলোর জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার ’পরী’ নামক বাঘিনী তিনটি এবং শুক্রবার বাঘিনী ‘জয়া’ দুটি শাবকের জন্ম দেয়।

তিনি বলেন, পরীর শাবক তিনটি সুস্থ আছে। বাঘিনীর সঙ্গে একই খাঁচায় আছে। কিন্তু জন্মের পর দুধ পান করতে না দেয়াতে পরদিনেই জয়ার দুটো শাবকই মারা যায়। কাছেও যেতে না পারায় বাচ্চাগুলোকে বাঁচানো করা যায়নি বলে আক্ষেপ করেন শাহাদাত হোসেন শুভ।

নতুন তিনটি শাবকসহ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা হলো নয়টি। ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১ মাস বয়সী ‘রাজ’ এবং নয় মাস বয়সী ‘পরী’ বাঘ দম্পতিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। এজন্য খরচ হয়েছিল ৩৩ লাখ টাকা।

শাবকদের দুধ পান করাচ্ছে বাঘিনী পরী।

২০১৮ সালের ১৯ জুলাইয়ে এই বাঘ জুটি প্রথম তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। এরমধ্যে দু্টি ছিল ’সাদা বাঘ’। পরদিন একটি সাদা শাবক মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীর নাম দেয়া হয় ‘শুভ্রা’। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেয়া হয় ‘জয়া’।

২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল বাঘিনী ‘জয়া’। কিন্তু দুধ পান করতে না দেয়ায় ১৫ নভেম্বর একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরেকটি শাবক মারা যায়। জীবিত শাবকটিকে সরিয়ে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়। প্রায় ছয় মাস বয়সী সাড়ে ২১ কেজি ওজনের শাবকটির নাম দেয়া হয় ‘জো বাইডেন’।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাঘিনী পরী দুটি শাবকের জন্ম দেয়। এরমধ্যে পরদিনই একটির মৃত্যু হয়। বেঁচে থাকা শাবকটি শুরুর দিকে ইনকিউবেটরে এবং পরে তিন মাস পর্দায় ঢাকা খাচায় নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। বাঘ ছানাটির নাম রাখা হয় ‘করোনা’।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সদ্য জন্ম নেয়া তিন শাবক ছাড়া আগে থেকে থাকা ছয়টির মধ্যে দুটি বাঘ ও চারটি বাঘিনী। এ নিয়ে বাঘিনী ‘পরী’ তিনবার ও ‘জয়া’ দুবার শাবকের জন্ম দিল। ‘শুভ্রা’ এখনও কোনো শাবকের জন্ম দেয়নি। আরেক বাঘিনী ‘করোনার’ বয়স এক বছর চার মাস।