আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময়সীমা দিলেন উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্পর্কে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে তলবও করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রদত্ত আদেশে আগামী ২৬ জানুয়ারি বন্দর চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এস সালাউদ্দিন আহমেদ। মনজিল মোরসেদ বলেন, গেল বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা ৩০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ করতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু আদেশের নয় মাস পরও নিরব বন্দর কতৃপক্ষ।
তিনি বলেন, নির্ধারিত তারিখে আমরা আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আদালত নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ করা হয়নি হাজির হয়ে তা ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত জানান, আজকাল অনেক কর্মকর্তাই আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে অনীহা দেখাচ্ছেন। যা বাঞ্ছনীয় নয়।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। এই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান।
রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। রায় অনুসারে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মাত্র পাঁচদিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়।