তিন বছরে ১৭ নতুন পাখি, ২২ এ দুই!

জঙ্গল আউলেট (কালি পেঁচা)। ছবি তুলেছেন: সাহাদ রাজু, বাংলাদেশের পাখি বিষয়ক আলোকচিত্রী।

দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ হলেও বাংলাদেশে রয়েছে ৬৮গুণ বড় ইউরোপের সম-পরিমাণ পাখির প্রজাতিগত বৈচিত্র্য। ইন্দো-বার্মা এবং ইন্দো-হিমালয়ান নামক দুই জীব-বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলের মিলনাস্থলে এ দেশের অবস্থান। সেইসঙ্গে পত্রঝড়া বনাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের চির সবুজ এবং মিশ্র চির সবুজ বনাঞ্চল, সুন্দরবন, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকা, হাওড় এবং বাওড় সমৃদ্ধ, দক্ষিণের বিশাল উপকূল আর নীল সমুদ্র; এ সবকিছু মিলে এক বিশাল প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যতা দেখা মেলে। যা পাখির প্রজাতিগত বৈচিত্র্যতাকেও করেছে সমৃদ্ধ।

প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে পাখির তালিকায় সংযোজিত হচ্ছে নিত্য নতুন প্রজাতি। অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞানী, পাখিপ্রেমী, আলোকচিত্রীদের কল্যাণে পরিচয়ও জানা যাচ্ছে নতুন পাখিদের। এরই ধারাবাহিকতায় গেল তিন বছরে পাখির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ১৭টি নতুন পাখি। একেবারে নতুন যুক্ত হয়েছে- Pygmy Blue-Flycatcher; বৈজ্ঞানিক নাম: Ficedula hodgsoni

Passeriformes বর্গের Muscicapidae পরিবারের এই পাখিটিকে ভুটান, চীন, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়শিয়া, মিয়ানমার, নেপাল ও ভিয়েতনামে দেখা গিয়েছিল। পাখিটি প্রাণ-প্রকৃতি সংক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থা- আইইউসিএন বিলুপ্তির শঙ্কামুক্ত তালিকায় রয়েছে। গেল ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেখা যায় পাখিটি।

পাখিপ্রেমী ও আলোকচিত্রী ডা. শাওন কুমার দেব, মামুনুর রশীদ রানা এবং নাজমুল হাসান আবির সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পাখি পর্যবেক্ষণের সময় বেলা ১১টার দিকে ভিন্ন রকমের একটি ডাক শুনতে পান, অনুসন্ধিৎসু মন পাখিটিকে খুঁজে বের করে ছবি তোলেন। পরবর্তীতে পাখি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় শনাক্ত করা হয় এটিকে। গেল নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরের সুন্দরবনে যায়। সাথে ছিলেন বিভাগের শিক্ষক ও প্রখ্যাত বন্যপ্রাণী গবেষক অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, অধ্যাপক ড. সাজেদা বেগম ও অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।

ওয়াটার পিপিট। ছবি: সাহাদ রাজু।

১৪ নভেম্বর পক্ষীর-খালে পাখি ও বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণের সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইদ হোসেনের ক্যামেরাবন্দী হয় নতুন এক পাখি। পরবর্তীতে পাখি বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন যে সেটি White-eared Night Heron; বৈজ্ঞানিক নাম: Gorsachius magnificus। বৈশ্বিকভাবে পাখিটি  একটি সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইইউসিএন। পাখিটির বিস্তৃতি চীন এবং ভিয়েতনামে। তবে ২০১৮ সালে ভারতের বিহারে দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া আছে।

Jungle Owlet/জঙ্গল আউলেট, বৈজ্ঞানিক নাম: Glaucidium radiatum। গেল ২০২১ সালের অক্টোবরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখা যায় এ পাখিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আমিনুজ্জামান মো. সালেহ রেজা ক্যাম্পাসে প্রাত: ভ্রমণে বের হয়ে ভিন্ন এক পাখির ডাক শুনতো পান। পরে ওই পাখির ছবি সংগ্রহ ও ডাক রেকর্ডিং করেন তিনি। পাখি বিশেষজ্ঞরা এটিকেও এ দেশের নতুন প্রজাতির পাখি হিসেবে যুক্ত করেন; ছোট কালি পেঁচা নামকরণ করা হয়েছে এটিকে। এরা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে দেখা যায়। আইইউসিএনের শঙ্কামুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এ পাখিটি।

বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্যতা নিয়ে রাঙামাটির কাসালং রিসার্ভ ফরেস্ট পরিপূর্ণ। রয়েছে বাঘের উপস্থিতিরও প্রমাণ। ২০২১ সালের জুলাইয়ে বন অধিদপ্তর এবং আইইউসিএনের একটি গবেষক দল কাসালংয়ে বাঘের খোঁজে গিয়েছিল। নেতৃত্বে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বন্যপ্রাণী গবেষক ড. মনিরুল এইচ খান এবং প্রফেসর ড. আব্দুল আজিজ। সেখানে গবেষক দলটি গোল্ডেন ক্রেস্টেড ময়না/Golden-crestedmyna; Ampeliceps coronatus খুঁজে পান। এটিকে নতুন পাখি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। Passeriformes বর্গের অন্তর্ভুক্ত এবং Sturnidae পরিবারের পাখিটি  চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, মালায়শিয়া ও লাওসে বিচরণ করে। আইইউসিএনের শঙ্কামুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ময়না পাখিটি।

বাংলাদেশের উত্তরের জলাশয়ের পরিবেশ নানা প্রজাতির পাখিদের জন্য সমৃদ্ধ। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে দেখা মেলে নতুন আরেক পাখি- Water pipit; বৈজ্ঞানিক নাম: Anthus spinoletta। Motacillidae পরিবারের গায়ক এ পাখিটিকে প্রথম দেখতে পান আলোকচিত্রী শাফায়েত আলম আবির, সাহাদ আহমেদ রাজু, মারজিয়া মাহজাবীন। যদিও ছবি সংগ্রহের পর সঠিকভাবে শনাক্ত করতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। প্রায় সাত মাস পর দেশের পাখি বিশেষজ্ঞরা এটিকে নতুন পাখি হিসাবে গ্রহণ করেন। আইইউসিএনের শঙ্কামুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পাখিটি।

নতুন পাওয়া ১৭টির মধ্যে ১৪টি পাখিই পাওয়া গেছে সংরক্ষিত এলাকার বাহিরে আর নয়টি পাখি রাজশাহী অঞ্চলে। তাই সংরক্ষিত এলাকার বাহিরের পাখি সংরক্ষণেও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

কথায় বলে, অতি সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ কিছু লুকিয়ে থাকে। এ দেশে আগে Isabelline shrike, বৈজ্ঞানিক নাম: Lanius isabellinus পাখিকে কসাই বা Brown Shrike পাখির মধ্যেই গণনা করা হতো। কিন্তু ক্ষুদে পাখিপ্রেমী সিথ মিলার খেয়াল করেন যে এই খয়রা কসাই হিসেবে পরিচিত পাখিদের মধ্যেই ভিন্ন প্রজাতির আরও একটি পাখি রয়েছে। এর নাম- Issbelline shrike। ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারী ঢাকা থেকেই প্রথমবারের মতো পাখিটিকে শনাক্ত করা হয়। পাখিটি আফ্রিকা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশে বিস্তৃত।

Glariolidae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত বাবুবাটান নামক পাখিরা অপূর্ব এক সৌন্দর্যের অধিকারি। এর আগে এ দেশে দুই প্রজাতির বাবু বাটান ছিল। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর রাজশাহীর মোহনপুর থেকে এই তালিকায় যুক্ত হয় Collared Partincole যার বৈজ্ঞানিক নাম: Glareola pratincola। প্রথমবারের পাখিটির ছবি সংগ্রহ করেন মইনুল আহসান শামীম এবং নূর-ই-সাউদ। আইইউসিএনের তথ্যমতে, পাখিটি বিলুপ্তি হতে শঙ্কামুক্ত। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে এই পাখির বিস্তৃতি। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বরে বাংলাদেশের পাখির তালিকায় Red-headed bunting; বৈজ্ঞানিক নাম: Emberiza bruniceps যুক্ত হয়েছিল। পাখিটির ছবি পাবনা থেকে সংগ্রহ করেন মিসবাহ সালেহীন। বিশ্বব্যাপী আইইউসিএনের শঙ্কামুক্ত তালিকায় রয়েছে পাখিটি।

বাংলাদেশে পাখিদের মধ্যে পেচাঁ অনন্য এক বৈচিত্র্যময়তা বহন করে। আর পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষাসহ কৃষি অর্থনীতিতেও রয়েছে এই পেচাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। Toytonodiae পরিবারে এতোদিন পর্যন্ত এক প্রজাতির পেঁচা বা লক্ষ্মীপেচার তথ্য বাংলাদেশে ছিলো। ২০২০ সালে ৪ আগষ্ট নতুন করে সন্ধান মেলে বান্দরবনের বগালেক থেকে। নাম – Oriental Bay Owl; বৈজ্ঞানিক নাম: Phodilus prigoginei। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি একজন আদিবাসী বুনো পরিবেশ থেকে ধরে আনেন। পেঁচাটির ছবি সংগ্রহ করেন নাজিম উদ্দীন খান। পাখিটি আইইউসিএনের শঙ্কামুক্ত তালিকায় আছে। আর পাখিটিকে এর আগে নেপাল, ভারত, মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালায়শিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর, সুদান ও ফিলিপাইনে দেখার যাওয়ার তথ্য রয়েছে।

লাল পা বুবি বা Red Footed booby, বৈজ্ঞানিক নাম: Sula sula প্রথমবারের মতো ২০২০ সালের জুলাই মাসে কক্সবাজারের উখিয়ার সৈকত পাড় থেকে রেকর্ড করা হয়। Suliformis বর্গের এবং Sulidae পরিবারের এই পাখিরা সমুদ্রে, উপকূলে, কিংবা সমুদ্র মধ্যবর্তী দ্বীপে থাকে। এই প্রজাতির পাখির একটি মাত্র পাখিকে জালাল উদ্দীন কক্সবাজারের সৈকতে দেখতে পান, যা উড়তে অক্ষম ছিলো।

২০২০ সালের ২১ থেকে ২৬ মে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ঠিক তখনই রাজশাহীর পদ্মার চর থেকে প্রথমবারের মতো পাওয়া যায় চার টি নতুন পাখি। এরা হলো: Wilson’s storm petrel (Oceanites oceanicus), Sooty tern (Onychoprion fuscatus), bridled tern (Onychoprion anaethetus) এবং Long-tailed jaeger (Stercorarius longicaudus)।

আশার কথা: নতুন পাখি পর্যবেক্ষণে এ দেশের গবেষকদের পাশাপাশি পাখিপ্রেমীরা ও আলোকচিত্রীরা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নানা চড়াই উৎরাই আর প্রতিকূল পরিবেশ পেরিয়ে খোঁজ দিয়ে যাচ্ছেন নতুন নতুন পাখির।

পাখি বিষয়ক আলোকচিত্রী মইনুল আহসান শামীম, নুরুল ইসলাম নুরু, নূর ই সাউদ, মো. এন অনিক রাজশাহীর পদ্মার চরে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষণ করেন পাখিগুলো। এরমধ্যে মইনুল আহসান শামীম এবং নুরুল ইসলাম নুরু প্রতিটি পর্যবেক্ষণেই ছিলেন। ঠিক এই সময় ঢাকার লালমাটিয়ার আকাশে দেখা মেলে  Wedge-tailed Shearwater (Ardenna pacifica)। পাখিটিও গভীর সমুদ্রের পাখি। ঘুর্ণিঝড়ের বিপাকে পড়ে উড়ে আসে স্থলে। এই পাঁচটি পাখিই আইইউসিএনের বৈশ্বিক তালিকায় শঙ্কামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

২০১৯ এর ২৭ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার এর বাইক্কা বিলে Long-billes dowitcher (Limnodromus scolopaceus) এর দেখা মেলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে। পাখি আলোকচিত্রী অশ্বিনী বিশ্বনাথ প্রথম পাখিটি পর্যবেক্ষণ করেন। পাখিটি আইইউসিএনের তালিকায় শঙ্কামুক্ত।

২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে তোলা Russet sparrow (Passer cinnamomeus)  বা দারুচিনি চড়ুই নামক পাখিটির ছবি ২০২১ সালে শনাক্ত হয় বাংলাদেশের নতুন পাখি হিসেবে। ফলে এ দেশে চড়ুই পাখির প্রজাতির সংখা হলো মোট তিনটি। অধ্যাপক আ ন ম আমিনুর রহমান এ ছবিটি তোলেন এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ড. মনিরুল হাসান খান পাখিটি শনাক্ত করেন। ফলে ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৭১৮তম পাখি হিসাবে তালিকা ভুক্ত করা হয় দারুচিনি চড়ুইকে। আইইউসিএনের তথ্যমতে এ পাখিটি শঙ্কামুক্ত।

পিগমি ব্লু ফ্লাইক্যাচার, ছবি: শাওন কুমার দেব, বাংলাদেশের পাখি বিষয়ক আলোকচিত্রী।

গত তিন বছরে মোট ১৭ প্রজাতির পাখি নতুন ভাবে শনাক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। আর এদের মাত্র তিনটি পাওয়া গিয়েছে সংরক্ষিত এলাকায়। বাকি ১৪টি (৮২. ৩৫%) পাখি পাওয়া গিয়েছে সংরক্ষিত এলাকার বাহিরে। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সংরক্ষিত এলাকার বাহিরে পাখি সংরক্ষণ গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। এমনকি আইইউসিএনের এ দেশীয় লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সংকটাপন্ন পাখি প্রজাতিগুলোর একটি বড় অংশই সংরক্ষিত এলাকার বাহিরে বিচরণ করে!

উল্লেখিত সতেরো পাখির নয়টি (৫৩%) পাখিই পাওয়া গিয়েছে উত্তরাঞ্চল থেকে। কিন্তু দু:খজনক হলেও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সংরক্ষিত এলাকার পরিমাণ নগণ্য। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী এখানে রয়েছে পাখিদের একাধিক সমৃদ্ধ স্থান, যা বিভিন্ন প্রকার দেশি ও পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল বা আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচিত। আর এই পাখিদের ১১টি (৬৫%) পাখির আবাস্থল জলাশয় কেন্দ্রিক। যা জলচর পাখি এবং জলজ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা সংরক্ষণে আরও সচেতন হতে নির্দেশ করছে।

পরিবেশ এবং প্রতিবেশগতভাবে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান পাখিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও বর্তমানে আবাসস্থল ধ্বংস, অবৈধ শিকার, আবাসস্থলের গুনগত মান বিনষ্ট হওয়ার কারণে পাখিরা আজ হুমকির মুখে। এ পরিস্থিতিতে দরকার পাখি সংরক্ষণে জরুরি উদ্যোগপ্রশাসন, সাধারণ জনগণ, গবেষক, সাংবাদিক, পাখিপ্রেমী ও আলোকচিত্রী সবার সমম্বিত উদ্যোগেই বাংলাদেশ হতে পারে পাখিদের জন্য এক স্বর্গরাজ্য। পাখিদের কলকাকলী আর কিচির মিচিরে পরিপূর্ণ থাকুক লাল সবুজের বাংলাদেশ। পাখি প্রতি ভালোবাসায় সকল স্তরের মানুষ এগিয়ে আসুক সংরক্ষণে।

 লেখক: বন্যপ্রাণ বিষয়ক গবেষক, সিইজিআইএস, বাংলাদেশ।