
আর্থ ডে বা ধরিত্রী দিবস। প্রতি বছর ২২ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। মূলত পৃথিবীকে নিরাপদ এবং বসবাসযোগ্য রাখতে সচেতনতা তৈরিতে দিবসটি উদযাপিত হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনসহ মনুষ্যসৃষ্ট নানা কারণে বিশ্ব আজ জর্জরিত। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বরফের স্তর গলে হাজার বছর জমে থাকা প্রাণঘাতি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবও তারই প্রমাণ বলছেন গবেষকরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন প্রেক্ষাপটে ধরিত্রী রক্ষায় প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন নি:সরণ কমানো, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় মানুষকে সচেতন হতে হবে।
চাইনিজ একাডেমি অব সাইন্সের গবেষক নাসির উদ্দিন বলেন, “ধরিত্রী দিবস আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় ১৯৭০ সালের কথা যে দিন প্রায় ২০ মিলিয়ন লোক সমেবেত হয়েছিল পরিবেশ রক্ষায় তাগাদা দিতে। আজকে ঠিক ৫০ বছর পরে আমরা এমন এক অবস্থায় আছি এখন কয়েক কোটি মানুষকে বাড়ির ভেতরে অবস্থান করতে হচ্ছে পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের ব্যর্থতার জন্যে।”
তিনি বলেন, “আজ আমরা কেউ নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করতে পারছিনা। এজন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। কাজেই ভবিষতে কোভিড-১৯ এর মতো মহামারী থেকে বাঁচতে হলে ধরিত্রীর প্রতি আমাদের আরো সহনশীল হতে হবে। আগামীর দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে এখনই তৈরি হতে হবে।”
১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম পালিত হয় ধরিত্রী দিবস। যা আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক প্রতি বছর ১৯৩টিরও বেশি দেশে পালন করা হয়। শুরুতে ৭০ এর দশকে এ দিনে মার্কিন সেনেটর গেলর্ড নেলসন ধরিত্রী দিবসের প্রচলন করেন। অনেক দেশেই সরকারিভাবে এই দিবস পালিত করা হয়।
উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে শরতে ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। ১৯৯০ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটি। ১৯৬৯ সালে সানফ্রান্সিস্কোতে ইউনেস্কো সম্মেলনে শান্তিকর্মী জন ম্যাককনেল পৃথিবী মায়ের সম্মানে একটি দিন উৎসর্গ করার প্রস্তাব করেন। শান্তির ধারণা থেকে উত্তর গোলার্ধে বসন্তের প্রথম দিন হিসেবে ১৯৭০ সালের ২১ মার্চ দিনটি প্রথম উদযাপিত হয়।