
বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। ১২ জুলাই, রোববার এ খবরটি জানান সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন।
জানা গেছে, খুলনা সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের আন্ধারমানিক ক্যাম্পের পার্শ্বেই গেল ১০ জুলাই, শুক্রবার বিকেলে বাঘের মরদেহ উদ্ধার করে বনবিভাগ। বনবিভাগের ভেটেরিনারী সার্জন মৃত বাঘটির ময়না তদন্ত করেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন জানান, মারা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বাঘের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি ঢাকায় ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।
তিনি জানান, এক সপ্তাহ ধরে বাঘিনীটি বনবিভাগের ক্যাম্পের পাশ্বেই ঘুরছিল। এর একটি পায়ে ক্ষত ছিল। হয়ত শিকার ধরতে না পেরে খাবারের অভাবে মারা গেছে। বাঘটির বয়স প্রায় ১৪-১৫ বছর।
বশিরুল আল মামুন বলেন, “ধারণা করছি কুমিরের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছিল বাঘটি। এটির পেছনের বাম পায়ে এবং সামনের ডান পায়ে আঘাত ছিল। অনেক আগে হওয়াতে চামড়ায় পচন ধরেছিল। এরপরও আমরা এটির চামড়া সংগ্রহ করেছি।”
বাংলাদেশের বাঘ গবেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, “সুন্দরবনে কুমিরের সঙ্গে বাঘের সংঘর্ষ হওয়ার মতো সুযোগ নেই। এমন কোন ঘটনা ঘটার নজিরও নেই। তবে বাঘিনীটি অন্য কোন কারণে মারা যেতে পারে।”
“বাঘিনীটি পায়ে আঘাত যদি থাকে তবে সেটি কুমির নয়, হরিণ শিকারের জন্য পাতা ফাঁদে আটকে আঘাত পেতে পারে।” সুন্দরবনে বাঘকে টিকিয়ে রাখতে বাঘ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের ওপর জোর দেন অধ্যাপক এম এ আজিজ।
আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘের বিচরণ আছে এমন ১৩টি দেশে একযোগে দিবসটি পালন করে থাকে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য বাঘ সংরক্ষণের বার্তা ছড়িয়ে দেয়া।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ বনবিভাগের বাঘ জরিপে সুন্দরবনে বাংলাদেশ অংশে ১১৪টি বাঘের বিচরণ রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু এরপর সুন্দরবনে দুটি বাঘ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।