ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাইফেল দিয়ে গুলি করে পথকুকুর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার কলকাতার কালীঘাটে একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় কুকুরটিকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
তবে বৃহষ্পতিবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। এতে ফুঁসে উঠেছেন রাজ্যের প্রাণিপ্রেমীরা। দোষীর শাস্তি না হলে তীব্র আন্দোলনে নামারও ঘোষণা দিয়েছে প্রাণী অধিকারকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, হত্যা শিকার কুকুরটি কালীঘাট এলাকায় অনেক দিন ধরেই ঘুরে বেড়াতো। কিন্তু বুধবার দুপুরে বাসিন্দারা দেখেন, কুকুরটির রক্তাক্ত নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে আছে। খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত করে জানতে পারে, কুকুরটিকে হত্যা করে সৌগতই। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার ব্যবহৃত ০.২২ শুটিং রাইফেলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর কী কারণে কুকুরটিকে গুলি করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কুকুরটির মাথার ভেতরে গুলি পাওয়া যায়।
জানা গেছে, সম্প্রতি একটি শুটিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয় সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই শুটিং রাইফেল দিয়ে পাখি মারা চেষ্টা করতো ওই যুবক।
অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২৭ আর্মস অ্যাক্ট এবং ১১এল প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলিটি অ্যানিম্যাল অ্যাক্টেও আরো একটি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনার পর মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, “পশুদের নিয়ে অনেকেরই অনুভূতি কম। বিশেষ করে পথকুকুরদের বিষয়ে দেখভাল একেবারেই হয় না। এমন ঘটনা সত্যি বেদনাদায়ক। ওই যুবকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।
“কড়া আইন প্রয়োগ করা উচিত। যিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার কেন জামিন হয়ে গেল। আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলব,” বলেন দেবাঞ্জন সরকার নামের এক প্রাণিপ্রেমী।