ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চের আশপাশে সাপ আছে কিনা-তা খতিয়ে দেখতে আনা হলো সাপ-শিকারি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের বানতলা চর্মনগরীরতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ঘিরে এ ঘটনায় আলোড়ন তুলেছে রাজ্যটিতে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাপভীতি’ থেকেই প্রশাসন এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেন অনেকেই।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইলিয়ট পার্কে বেশ কয়েকবার হাঁটতে গিয়ে সাপ দেখেছেন বলে জানান। এমনকি তিনি বলেন, সাপের কারণে তিনি ওই পার্কে হাঁটাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
তিনি ওই দিন উল্লেখ করেন, প্রচণ্ড গরম ও বর্ষায় মাঠঘাটে সাপের উপদ্রপ বেড়ে যায়। এজন্য কৃষকদের বিশেষ জুতো ব্যবহার করতেও পরামর্শ দেন।
জানা গেছে, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বানতলা চর্মনগরীর যে জায়গায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন, ওই এলাকার মাঠে ঝোপঝাড় বেশি ছিল। এ কারণে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনসহ এসব এলাকায় কেউটে, গোখরো, কালাচ, চন্দ্রবোড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সাপ রয়েছে।
তাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করতে যোগ দেন সুন্দরবনের ঝাড়খালি বনদফতরের তিনজন সাপ-শিকার।অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে সাপ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন তারা।
সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা, স্বাস্থ্য দফতর, ব্লাড ব্যাঙ্ক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর হাজির থাকে। এবারই প্রথম যুক্ত করা হলো সাপ-শিকারি ও সর্প বিশেষজ্ঞদেরও।
আনন্দবাজারের এক খবরে বলা হয়, স্নেক ক্যাচার স্টিক ও সাপ ধরার অন্যান্য উপকরণসহ উপস্থিত ছিলেন সাপ-শিকারিরা। সাপ-শিকারি সম্রাট মালি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে আমাদের বন দফতর থেকে আনা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ছাড়াও আশপাশে সাপ আছে কিনা তা আমরা তা খতিয়ে দেখেছি। সাপ দেখতে পেলেই তা ধরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের ডিএফও সান্তোষা জিআর বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওই অনুষ্ঠানের আগে ওই এলাকায় সাপ দেখা গিয়েছিল বলে আমাদের জানানো হয়। সেজন্য আমাদের কর্মীদের ওই এলাকায় পাঠানো হয়।