বাংলাদেশের মাদারিপুরের কুমার নদ, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তিনাশাসহ ছোট-বড় সাতটি নদী ভরাট ও তীর দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের যোগসাজশে চলছে এসব নদী দখল। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে নদী দখলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, মাদারীপুর শহর ঘেঁষা রাস্তি এলাকায় কুমার নদের চর দখল করে চলছে স্থাপনা নির্মাণ।
টেলিভিশনটির সংবাদে জানানো হয়, গত শুষ্ক মৌসুমে চরের একাংশ বালু দিয়ে ভরাট করে স্থানীয় ১৬ জনের একটি সিন্ডিকেট। পরে তা বাদল মোল্লা নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। এখন নদীর ওই জমিতে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন তিনি।
বাদল মোল্লা বলেন, দলিলে যতটুকু আছে তা থেকে দশ ফুট জায়গা সরকারি জায়গার ভিতর আছে। যদি সরকারের প্রয়োজন হয় শুধু ১০ ফুট কেন পুরো জমিও ছেড়ে দিতে হবে।
এছাড়া আড়িয়াল খাঁ, কীর্তিনাশা, ময়নাকাটাসহ ছোট বড় সাতটি নদীরও একই চিত্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে এই নদীগুলোর দখল করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারা বলছেন, দ্রুত দখলদার থেকে উদ্ধার করা হোক নদীর জায়গা।
সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য এনায়েত হোসেন নান্নু বলেন, রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হোক।
এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নদীর তীর এলাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলমান। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, নদী-নালা, খালবিল যেগুলো আছে সেগুলোর সীমানা চিহ্নিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা যা সেগুলো অপসারণ করতে ইতিমধ্যে কার্যক্রম চলমান।
প্রসঙ্গত, নৌপথ সচল রাখতে ২০১৪ সালে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাদারীপুর অংশে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী খনন করে সরকার।