বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অন্যতম প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা। তবে অপরিকল্পিত শহর ব্যবস্থাপনার কারণে নদীটির প্রাকৃতিক ও আদি রূপ-বৈচিত্র্য দূষণে জর্জরিত। বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়ে আসছে বিভিন্ন পরিবেশ ও নদী সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনগুলো। তেমনি বুড়িগঙ্গা রক্ষায় অনুষ্ঠিত হলো বর্ণিল নদী উৎসব…
দূষণ বন্ধের মাধ্যমে নদীতে প্রাণ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম এবং বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা যৌথ উদ্যোগে করা হয় এই উৎসব। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুদিনব্যাপী সাইকেল ও ডিঙ্গি নৌকা প্রতিযোগিতা, মুকাভিনয় ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বুড়িগঙ্গা নদী উৎসবের আয়োজকরা মনে করেন এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নদী পাড়ের মানুষ তাদের প্রাণ বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার কাজে অনুপ্রাণিত হবে। বসিলা স্কুলের মাঠে রাবেয়া আর্ট অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে নদী বিষয়ে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নদী উৎসবের অংশ হিসেবে বসিলা ঘাটে এক ডিঙ্গি নৌকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
খেয়া পারাপারের মাঝির এতে অংশ নেন।বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক মুকাভিনয় অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বুড়িগঙ্গা নদী উৎসবহুল বছিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেষ হয়।
শরীফ জামিল বলেন, নদীকে আমাদের সম্মুখভাগ করতে হবে। আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। আগামীকাল বুড়িগঙ্গা নদী উৎসবের প্রাক্কালে আমরা এই আয়োজন নিয়ে এসেছি মানুষকে সচেতন করতে। আজকে যুবসমাজ এগিয়ে এসেছে। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে সাইকেল র্যালি করছে। ঢাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে মনে। দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে আমাদের ঢাকার প্রাণ এই বুড়িগঙ্গাকে।
অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা সাইকেল চালায় আর যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারাই পরিবেশ সচেতন। এই পরিবেশ সচেতনবাদীদের মতো সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায়।
আরডিআরসি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, এই উদ্যোগে পর সবাই আরও সচেতন হবেন।
যুব ৰাপা কর্মসূচির সদস্য অ্যাডভোকেট রাওমান স্মিতা বলেন, যুবকেরাই পারে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে, যুবকেরাই পারে বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করতে।