বিপন্ন প্রায় ডাহুক পাখি শিকার: অভিযানে জরিমানা

শিকারির জবাই করা ৪৪টি ডাহুক পাখির একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জবাইকৃত অবস্থায় ৪৪টি ডাহুক পাখি উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সকালে সদর উপজেলার বেলাল- এর বাড়িতে ক্রেতা সেজে যায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় সেখান থেকে জবাই করা অবস্থায় ৪৪টি ডাহুক পাখি উদ্ধার করা হয়। হাতেনাতে আটক শিকারী বেলালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা নেয়া হয়। এরপর উদ্ধার করা মৃত পাখিগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

“পাখি শিকারি বেলাল ভবিষ্যতে কোন প্রকার প্রকৃতি বিধ্বংসী অপকর্মে লিপ্ত হবেন না বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন” জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

নওগাঁ ভিত্তিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠন- বিবিসিএফ’র সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন। সেইসঙ্গে বনপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটসহ অভিযানটি পরিচালনা করেন বনবিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির।

অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

উদ্ধার হওয়া ডাহুক মূলত জলের পাখি, খুবই সুন্দর। মাঝারি সাইজের পাখিটি জলাভূমির আশেপাশের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। পিঠের রঙ ধূসর থেকে খয়েরী-কালো, মাথা ও বুক সাদা। লেজের নীচের অংশে লালচে আভা। ঠোট হলুদ রঙের, ঠোটের উপরে লাল রঙের একটি ছোট্ট দাগ আছে।

পুকুর, খাল, জলাভূমি, বিল, নদীর কিনারে মাটিতে, ঝোপের তলায় বাসা তৈরি করে পাখিটি। রাতে ডাহুকের ‘কোয়াক’ ‘কোয়াক’ ডাক শুনে সহজেই একে চিনতে পারা যায়। এই ডাক পুরুষ পাখির, যা বর্ষাকালে বেশি শোনা যায়। একটানা অনেকক্ষণ ডেকে শ্বাস নেয়। বাংলাদেশে ডাহুক এখন বিপন্ন প্রজাতির পাখি।