খাবার নিয়ে বন্যার্ত পশুদের পাশে ওরা

বাংলাদেশে বন্যায় মানুষের পাশাপাশি খাবার ও পানি সংকটে গবাদি পশুরাও। তবে সরকারি কোন উদ্যোগ দেখা না গেলেও এগিয়ে এসেছে প্রাণী কল্যাণ সংগঠন ও সেচ্ছাসেবীরা।

২৭ জুলাই শনিবার উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বন্যা কবলিত গবাদিপশুর জন্য প্রাণী খাদ্য বিতরণের এই উদ্যোগ নেয় প্রাণী কল্যাণ সংস্থা ‘প’ ফাউন্ডেশন। এর সঙ্গে যুক্ত হন প্রাণিপ্রেমী সেচ্ছাসেবীরাও।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মানুষের পাশাপাশি তীব্র খাদ্য ও পানি সংকটে গবাদি প্রাণীগুলো। বেশকিছু এলাকায় গবাদি পশুর মুখে খাবার তুলে দিতে না পারায় কষ্টের কথা জানাচ্ছেন বন্যার্ত মানুষেরা।

“এখনো সরকারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে ক্ষুদ্র পরিসরে এই ত্রাণ হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে,” জানায় সংস্থাটি।

‘প’ ফাউন্ডেশন উপজেলার ২ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ৩৫০টি পরিবারে প্রাণী খাদ্য বিতরণ করে। আর এই উদ্যোগে খুশি বন্যার্ত মানুষেরাও।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রাণিপ্রেমিরা।

প্রাণী অধিকারকর্মীরা বলেন, বন্যায় মানুষের জীবন যতোটা সংকটাপন্ন, প্রাণীদের অবস্থা আরো করুণ। কেননা মানুষের জন্য অল্প বিস্তর ত্রাণ সামগ্রী মিললেও প্রাণীদের সে উপায় ছিলো না।

‘প’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল বলেন, “প্রাণী কল্যাণে সকল সংগঠনকে এমন কাজে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যদিও এটি কেবলমাত্র একটি উদ্যোগ।”

“ভবিষ্যতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকেও এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন,” মন্তব্য করেন এমিল।

২৮ জুলাই ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে অসুস্থ গবাদি পশুদের চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ‘প’ ফাউন্ডেশন।

প্রসঙ্গত, গেলো ১৮ জুলাই “পালিত পশুর জন্য বন্যার্ত মানুষের কান্না” শিরোনামে সংবাদ প্রচার করে বেঙ্গল ডিসকাভার। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমও।