আষাঢ়ের বৃষ্টি ভূটানে: হাহাকার ভারতে!

বজ্র ড্রাগনভূমি বলে পরিচিত এশিয়ার ছোট্ট দেশ ভূটান। প্রকৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগী দেশটি বিশুদ্ধ অক্সিজেনের ভাণ্ডারের সুনাম রয়েছে দেশটির। আর বিশ্বের অন্যতম সুখী রাষ্ট্রের মর্যাদাও তো পাহাড়ী দেশটিরই। বিশাল সবুজায়নের প্রভাবে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে দেশটি। তবে প্রকৃতি এখন ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করছে। কারণ ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে ছোট্ট দেশটি। সেইসঙ্গে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও পড়েছে প্রভাব।

ভারত-ভূটান আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার দুই পাড়ে আমো চু (তোর্সা) নদীর তোড়ে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি। পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ফুন্টশোলিং শহরের সঙ্গে রাজধানী থিম্পুর সড়ক যোগাযোগ রীতিমত বিচ্ছিন্ন। ভূটানের পাহাড়ে অতি বৃষ্টিতে তোর্সা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভূটানে অতি বৃষ্টিতে সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি. আলিপুরদুয়ারেও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টিতে প্রচণ্ড গরম থেকে একটু স্বস্তি মিলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফুন্টশোলিং থেকে পারো বা থিম্পু পর্যন্ত যাবার সড়কপথের বিভিন্ন স্থানে নেমেছে ধস। বড় বড় পাথর পড়ে যান চলাচল বন্ধ, সেইসঙ্গে ব্যাহত জনজীবনও।

ভুটানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বিবিএস জানিয়েছে, ফুন্টশোলিং ছাড়াও উত্তর ও পূর্ব ভুটানের বেশিরভাগ এলাকাতেই প্রবল বৃষ্টিতে বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন। সরকারি নির্দেশে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। বেশ কয়েকটি স্থানে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। পাহাড়ি ঝিরি-ঝর্ণা ও নদীতে নেমেছে আকস্মিক ঢল। ভূটানের গেদু, গোমদার, রিচাংলু এলাকায় বন্যার চিত্র ভয়াবহ।

অন্যদিকে ধস নেমে বিচ্ছিন্ন দেশের দুটি প্রধান জনপদ জেলেফু ও সারপাংয়ে। এতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটের আশঙ্কাও। থিম্পু থেকে প্রকাশিত আবহাওয়া বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরো কঠিন হবে। কারণ ভূটানের পার্বত্য এলাকায় রয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এতে পাহাড়ি ঢলের পানি নিচে নেমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশিটর প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শোরিংয়ের নির্দেশে শুরু হয়েছে ত্রাণ পাঠানোর কাজ।