
ভারতের কেরালা রাজ্যে অন্ত:সত্ত্বা একটি হাতিকে খাবারের ভেতর পটকা দিয়ে বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে। নির্মম এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিশ্বের বিবেকবান মানুষ। ৩ জুন, বুধবার এ ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর অনলাইন দুনিয়ায় চলছে তীব্র সামলোচনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডি টিভির খবরে বলা হয়, উত্তর কেরালার একটি গ্রামে খাবারের সন্ধানে বন থেকে এসেছিল অন্ত:সত্ত্বা একটি হাতি। তবে গ্রামের কিছু দুষ্ট মানুষ আনারসের ভেতর আতশবাজি ভরে খেতে দেয় হাতিকে। মুহুর্তেই পটকা ভর্তি ফলটি হাতির মুখেই বিস্ফোরিত হয়।
সংবাদে বলা হয়, সঙ্গে সঙ্গে হাতিটি প্রাণপণ ছুটতে থাকে। এরপর নেমে পড়ে স্থানীয় ভেলিয়ার নদীতে। তিনদিন পানিতেই দাঁড়িয়ে থেকে ২৭ মে প্রাণ হারায় হাতিটি। এ ঘটনায় অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র সমালোচনা চলছে।
উত্তর কেরালার মালাপ্পুরমের বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহন কৃষ্ণন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, যখন মুখের মধ্যে পটকার বিস্ফোরণ ঘটেছিল তখন হাতিটি প্রাণপণ ছুটতে থাকে। হয়তো তার নিজের জন্য নয়, ওর শরীরে বেড়ে ওঠা প্রাণ যে আরও ১৮ থেকে ২০ মাস পরে ভূমিষ্ঠ হত তাকে নিয়ে।
”বিস্ফোরণের মাত্রা এতই ভয়াবহ ছিল যে, হাতির জিভ ও মুখ মারাত্মক আঘাত পেয়েছিল। যন্ত্রণা ও ক্ষুধায় হাতিটি গ্রামের পথে ছুটে ছিল। কিন্তু চরম অস্বস্তির মধ্যেও কোন বাড়িতে বা মানুষকে আক্রমণ করেনি। এক পর্যায়ে স্থানীয় ভেলিয়ার নদীতে নেমে যায় পানি খেতে,” উল্লেখ করেন মোহন কৃষ্ণন।
খবর পেয়ে ভারতীয় বন বিভাগ হাতিটি পানি থেকে উদ্ধারে আরো দুটি হাতির দিয়ে চেষ্টা করে। কিন্তু একবারও উঠে আসতে চায়নি আহত হাতিটি। অবশেষে ২৭ মে বিকেল চারটায় মারা যায়। পরে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে জঙ্গলেই সমাধিস্থ করা হয়।