গাছ কোপানো সেই নারী গ্রেপ্তার, বললেন ‘অনুতপ্ত’ (ভিডিও)

বাংলাদেশের সাভারে ছাদ বাগানের গাছ কুপিয়ে ধ্বংস করার ঘটনায় অভিযুক্ত নারী খালেদা আকতারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে বৃক্ষপ্রেমী এবং ভুক্তোভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত খালেদা আকতার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি অনুতপ্ত, আমি ঠিক কাজ করিনি। রাগের বশে ভুল করেছি।”

পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা গ্রিন-সেভার্সের প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি বলেন, “অস্ত্র আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।” তিনি বলেন, “আমরা বৃক্ষপ্রেমীরা এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজ সোচ্চার হয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।”

“আমরা প্রকৃতিপ্রেমীরা যে একা নই, যে কেউ চাইলেই যাতে আমাদের যত্নে গড়া বাগানগুলোর উপর এমন নিষ্ঠুরতা করার সাহস যেন আর না পায় সেটিও জানান দেয়ার সময় এসেছে,” উল্লেখ করেন আহসান রনি।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের সাভারের শক্রতার জেরে কুপিয়ে গাছ কেটে দেয়ার ভয়াবহ এক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করেন সুমাইয়া হাবিব নামের ভুক্তভোগী গাছের মালিক নারী।

এতে দেখা যায়, এক মহিলা দা হাতে সুমাইয়া হাবিবের তৈরি করা ছাদবাগানের সব গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছেন। এ সময় গাছের মালিকের আকুতি-মিনতি ও কান্না স্পর্শ করেনি ওই নারীকে। সঙ্গে ছিল সেই নারীর ছেলে এবং গুণ্ডাপাণ্ডার দল। এমন অমানুষিক ঘটনা দেখে মুহুর্তেই শুরু হয় সমালোচনা।

ভুক্তোভোগী নারী সুমাইয়া ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “কখনো কি শুনছেন মানুষ গাছ অপছন্দ করে? গাছ পরিবেশ নষ্ট করে? এই মহিলার গাছ পছন্দ না। তার বক্তব্য আমাদের গাছ ছাদের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। তাই এই মহিলা আমাদের সব গাছ কেটে ফেলছে। কি অপরাধ ছিল গাছের? কি অপরাধ ছিল? কেউ বলতে পারবেন?”

এ ঘটনার পর ভুক্তোভোগী সুমাইয়া হাবীবের পাশে দাঁড়িয়েছে সম্মিলিত ছাদবাগান পরিবার। এরপর আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় সংগঠনের সদস্যরা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের নেতা প্রফেসর কামারুজ্জামান বলেন, প্রথমে মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। তবে পরে নিয়েছে, পুলিশ-র‍্যাবের কর্মকর্তারা এবং ম্যাজিস্ট্রেটও ছিলেন।