প্রাণ-প্রকৃতির ধরিত্রী কন্যা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়, আলোকচিত্রী, বাংলাদেশ।

নদীর নাম মধুমতি, আপন মনে বইছে সবুজে ঘেরা টুঙ্গিপাড়ার কোল ঘেসে। পদ্মা নিম্ন-অববাহিকার এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে আর জীব বৈচিত্র্যে বড়ই সমৃদ্ধ। দক্ষিণ বাংলার এই উর্বর ভূমিতেই জন্ম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘর আলো জন্ম নেন জ্যেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই শেখ রাসেল হাসু আপা বলেই ডাকতো। সেই হাসু আপাই দায়িত্ব নিয়েছেন ১৬০ মিলিয়ন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের। আজ চারিদিকে তাঁরই জয়ধ্বনি। তিনি যে শুধু একজন সফল দেশ-নায়কই নন, যেমন মমতাময়ী তেমনি প্রকৃতিপ্রেমীও, প্রাণ-প্রকৃতির ধরিত্রীকন্যা। পিতার মতোই এ দেশে ও মানুষের জন্য নিজ জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেইসঙ্গে উপলব্ধি করেছেন প্রকৃতির মায়া, মমতা আর কষ্টগুলোও। তাই তিনিই একমাত্র মানুষ, যিনি জীবনের সর্বোচ্চ দিয়ে আগলে রাখছেন বাংলাদেশের বন-বনানী, পাহাড়, সমুদ্র, নদী। গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে।

বাবা-মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে জেষ্ঠ্য হাসু আপার ছেলেবেলা কাটে পল্লী মায়ের কোলে। তাই তো পরিবারের প্রতিও আছে অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং দায়িত্ব। ছেলেবেলা থেকেই প্রাণ-প্রকৃতির মাঝে ছুটে চলা ও সখ্যতা। প্রকৃতিও আপন মনে ছোট্ট মমতাময়ী, কোমলমতি হাসু আপাকে আপন কন্যা হিসেবেই গ্রহণ করে সাদরে। প্রাণ-প্রকৃতির সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানে ১৮(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজিত হয়েছে। আর এই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে পরিণত করেছে শেখ হাসিনার সরকার।

বাংলাদেশের পরিবেশ তথা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রাণ রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে দু’জন মানুষের নামই আসে সবার আগে- বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর আত্মজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৮ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সর্বাধিক সংখ্যক জাতীয় উদ্যান (১০টি) ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (১৭টি) ঘোষণা করা হয়, যা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৭ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি অনুযায়ী ১৩টি জলাভূমি ও উপকূলীয় এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে শুধু বাঙ্গালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন তাই নয়, সেতু এলাকায় জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণে ’পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য’ এবং ’পদ্মাসেতু প্রাণী জাদুঘর’ তৈরি করছেন৷ পদ্মা সেতু প্রাণী জাদুঘর হবে এ দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রাণী জাদুঘর। এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার প্রাণীর নমুনা সংগৃহীত হয়েছে এখানে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে এই জাদুঘর।

২০০৪-২০০৫ সালে, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ ছিলো ১১ ভাগ। কিন্তু বর্তমানে এর পরিমাণ ২২.৩৭ ভাগ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তা ২৪ ভাগে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশব্যাপী এক কোটি গাছের চারা রোপনের জন্য বিতরণ করা হয়। একজন রাষ্ট্রনায়কের প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি কতটা মায়া থাকলে এমন উদ্যোগ নিতে পারেন তাঁর স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে আছেন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন প্রবর্তন করেন। কিন্তু দু:খের বিষয় এরপর আর কোন রাষ্ট্রনায়ক এরকম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এরপর ২০১২ সালে ধরিত্রী কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ আইন পুনরায় যুগোপযোগী করে প্রবর্তন করা হয় এবং প্রয়োগ শুরু হয়। গঠন করা হয় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

সুন্দরবন বাংলাদেশের গর্বের একটি প্রাকৃতিক অঞ্চল। সৌন্দর্য, বিচিত্র জীব-বৈচিত্র্যে ভরপুর, বন্যপ্রাণীর স্বর্গরাজ্য লোনাপানির এই প্যারাবন। কিন্তু এক সময় বন্যপ্রাণী শিকার, পাচারসহ বিভিন্ন কারণে হুমকিতে ছিল এ বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ। পরিণত হয়েছিল বনদস্যুদের অভয়ারণ্যেও। কিন্তু প্রাণ-প্রকৃতির ধরিত্রী কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর হয় বনদস্যু, বন্ধ হয় শিকার এবং পাচার। নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে সুরক্ষিত হয়েছে সুন্দরবন। ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ”দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন, একটা বিষয় সব সময়ই খেয়াল রাখা হয়, সুন্দরবন যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”

বন ও বন্যপ্রাণী গবেষণায় বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বর্তমান সরকার। শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দুটি বিশেষ জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, একটি মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া, একটি জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, বাঘ সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, প্রণয়ন করা হয়েছে এলিফ্যান্ট অ্যাকশন প্ল্যান’। শকুন সংরক্ষণে দুটি নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে, সাফারি পার্ক, অ্যাভিয়ারি পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ সেন্টার, ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, বন্যপ্রাণী ফরেনসিক ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী, বন সংরক্ষণে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নিয়মিত পুরস্কৃত করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে নিয়মিত করা হচ্ছে বিভিন্ন কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকৃতি সংরক্ষণের অন্যতম অংশ।

বিশ্ব এখন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করে, যা ছিল বিশ্বে প্রথম। এর বাস্তবায়নে অর্থায়নের জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট গঠন করা হয়। এই ফান্ড, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থে প্রতিষ্ঠিত। যার আওতায় শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বর্তমান সরকার নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ করা হয়। দেশে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা” তৈরি করা হচ্ছে।

‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ প্রণয়ণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। স্বল্প কার্বন নিঃসরণযোগ্য প্রযুক্তির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অভিযোজনমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কার্যকর উপায় বিশ্ব ফোরামে তুলে ধরছেন।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রপ্ত দেশগুলোর জোট সিভিএফের সভাপতির দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সিভিএফ হয়ে ওঠে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণদের কণ্ঠস্বর। জলবায়ু আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা বঙ্গালী জাতির জন্য গর্বের বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করা হয়েছিল পুরস্কারটি।

জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ সহ বিভিন্ন ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশর উন্নায়ন কার্যক্রম হুমকির মুখোমুখি হতে পারে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার “বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা – ২০২১” প্রনয়ণ করেছে যা আমাদের প্রিয় নেত্রীর দূরদর্শী এক মহাপরিকল্পনা এবং পৃথিবীর অন্য কোন দেশ এখন পর্যন্ত এতো দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি।

এ দেশের দক্ষিণে রয়েছে বিশাল এক বঙ্গোপসাগর। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল প্রাচুর্যতা। যার টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক হবে। সমুদ্র বাংলাদেশের অধিকার বিষয়ক দুটি রায়ের ফলে বাংলাদেশের মোট সমুদ্রসীমা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারে। যা শেখ হাসিনা সরকারের একটি বড় অর্জন। এই জয়ে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্লু-ইকোনোমির এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সাগর তলের সম্পদ, জলজ প্রাণীর ওপর স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের কর্তৃত্ব। ইতিমধ্যে ব্লু-ইকোনোমির কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রকল্প নেওয়াও হয়েছে।

সোয়াচ-অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশের অন্যতন সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা। যা বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীবে পরিপূর্ণ। ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ইসাবেলা ফাউন্ডেশন থেকে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তৎকালীন মহাপরিচালিক ও বর্তমান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। যা অতল নীল জলরাশির অজানা তথ্য সকলের সামনে নিয়ে আসে।

ছবি: পিআইডি, বাংলাদেশ

পরিবেশ দূষণরোধে বর্তমান সরকার বিশ্বব্যাংকের সাথে সৃজনশীল, পরিবেশবান্ধব টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ শিরোনামের প্রকল্পের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের দূষণ বন্ধে প্রণীত হচ্ছে আইন এবং নীতিমালা। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার-এ ভূষিত করা হয়েছে।

২০১৪ সালে তাঁকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ সম্মাননা প্রদান করে ইউনেস্কো। এ সম্মাননা তুলে দেয়ার সময় ইউনেস্কোর প্রধান ইরিনা সেকোভা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সাহসী নারী। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ তার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তিনি।

পরিশেষে জানাতে চাই, গণভবন এলাকায় রেসার্স ম্যাকাক প্রজাতির বানরগুলোর জন্যও নিয়মিত খাবার সরবারহ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যে প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসায় শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করে তাঁর প্রতিটি উদ্যোগ।

জন্মদিনে প্রত্যাশা, ভালো থাকুক প্রাণ-প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ ধরিত্রী কন্যা, আমাদের হাসু আপা। আরও অনেক বছর আগলে রাখুন বাংলাদেশের প্রাণ ও প্রকৃতিকে।

লেখক: বন্যপ্রাণ বিষয়ক গবেষক, সিইজিআইএস, বাংলাদেশ।