গেল এক যুগ ধরে বাংলাদেশে বনভূমির ভেতরে ও বাইরে গাছের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বলেন, ১১-১২ বছর আগে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশের নিচে, তা এখন ২৪ শতাংশের বেশি। মানুষ বেড়েছে গত ১১ বছরে, সেইসঙ্গে নতুন বসতি নির্মাণসহ বেড়েছে শহরগুলোর আকার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চার লেন রাস্তা, শিল্পায়ন ইত্যাদি হয়েছে। এরপরও বেড়েছে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ।
কারণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে চেতনা জাগ্রত হয়েছে। আগে আমাদের বনভূমিতেই শুধু গাছ ছিল। এখন বনভুমির বাইরেও প্রচুর গাছ আছে বা রোপণ হচ্ছে।
পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোকে আরো যত্নবান হওয়ার দরকার বলে মন্তব্যও করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি খেয়াল করে না। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র মতো প্রতিষ্ঠান রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির পাশে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছে, এটি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের সৌন্দর্য হচ্ছে পাহাড়। পাহাড় সংরক্ষণ ও বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যায়। কিন্তু সিডিএ’র মতো একটি প্রতিষ্ঠানে থেকে এমন কর্মকাণ্ড কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করার সময় পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি ভাবার অনুরোধ জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ। এটি এখন হুমকি নয় বরং বাস্তবতা।