বর্ষা উপভোগে প্রাকৃতিক টোটকা

বর্ষায় সুস্থ থাকতে পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। এ সময় প্রাকৃতিক নিয়মে অভ্যস্ত হতে পারলে খরচ যেমন কমবে, তেমনি বর্ষার নানান ঝক্কি ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। চলুন জেনে নিই বর্ষায় পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ থাকার ঘরোয়া কৌশলগুলো।

বর্ষায় ঘরকে স্যাঁতসেঁতে ভাব থেকে দূর করতে:- লেবু পাতা, ল্যাভেন্ডার ও দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে অথবা ভিনেগার ও বেকিং সোডা তৈরি করা যায় সুগন্ধি। কফি বীজ খোলা বাক্সে রাখলেও ঘর সুগন্ধে ভরে উঠবে। তেজপাতা পুড়িয়েও সুগন্ধময় করা যায় ঘরে।

বৃষ্টির সময় দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হবে। থেমে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে দিন ভেজা ঘর, বারান্দা। কাঁচা নিমপাতা ড্রয়ারে বা ভাঁজে রাখলে কাপড় ভালো থাকে। এতে পোকা-মাকড় দূর হবে, ভালো থাকবে কাপড়ও। দুই এক টুকরা চকও রাখতে পারেন ড্রয়ার বা আলমারিতে।

মশা-মাছি দূর করতে ধূপ জ্বালতে পারেন, শ্বাসকষ্ট থাকলে কয়েকটি কর্পূর পানিতে ভিজিয়ে ঘরের কোণে রেখে দিতে পারেন। পোকা মাকড় তো দূরে রাখার পাশাপাশি সৌরভে ভরে উঠবে ঘরও।

সবজি বা দুধ যেকোনটির সাথে খেতে পারেন পরিমান মতো হলুদ। কারণ এটি এন্টি ওক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মশলা, যা ক্যান্সারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।

বর্ষায় ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট জনিত যেকোন সমস্যায় তুলসী পাতার রস বা তুলসী চা রোগমুক্তি দেবে। আমলকি, হরিতকি আর বহেরাকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। যার সবই একেকটি ভেষজ। ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জমাট কফ আর হজমে সাহায্য করবে ত্রিফলা।

আদা, রসুন, যষ্ঠিমধুর মতো ভেষজ এবং মশলাও সুস্থ রাখবে বর্ষায়। বৃষ্টির পানিতে গলার খুশখুশে কাশি হলে দারুচিনি চা আরাম দেবে। সারাবছরও পান করা যায় পানীয়টি।