তরুণদের কল্যাণে উদ্ধার হলো ময়না পাখি

উদ্ধার হওয়া ময়না পাখি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা সদরের একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছিল ময়না পাখি। তবে বুধবার, ১০ জুন স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন তীর এর সহায়তায় পাখিটি উদ্ধার করেছে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ।

তীর এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সদরের ইসলামিয়া উচ্চ বিশ্ববিদ্যালায়ের সামনে একটি দোকানে একটি ময়না পাখি বিক্রির জন্য রাখা ছিল। তবে সংগঠনের কর্মীরা বিষয়টি জানার পর তা বনবিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট- ডাব্লিউসিসিউকে অবগত করে। পরে বনবিভাগের সদর থানা পুলিশ দোকান থেকে পাখিটি উদ্ধার করে।

বন্যপ্রাণী অপরাধ ইউনিটের পরিচালক জহির উদ্দিন আকন বলেন, তীরের কর্মীদের সহায়তায় ময়না পাখিটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি এখন বনবিভাগের জিম্মায় রয়েছে। দ্রুত পাখিটিকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছ্বাসেবী সংগঠন তীরের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান ডাব্লিউসিসিইউ’র পরিচালক। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা আইন অনুসারে বাংলাদেশে ময়না পাখি ক্রয়-বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ (আপোষযোগ্য)। তাই সাধারণ মানুষকে পাখিটি পালনের উদ্দেশ্যে কেনা-বেচা না করতে পরামর্শ দিয়েছে বনবিভাগ।

বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী গবেষক নাসির উদ্দিন জানান, ময়না পাখি সাধারণত এ দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বনে দেখা যায়। বন্যপ্রাণী ও পাখি বানিজ্য ওপর নজরদারি বৃদ্ধি, আইন প্রয়োগসহ জনসাধারণকে বন্যপ্রাণীর অবস্থা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতে সচেতনমূলক কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। দরকার।