বায়ু দূষণ: টিএনটির জিএমের গাড়িসহ ৭টি গাড়িকে জরিমানা

যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত

বায়ু দূষণ ঠেকাতে রাজধানীতে কালো ধোঁয়া নির্গত করে এমন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় নির্গত বায়ুর মানমাত্রা নির্ণয়ের যন্ত্র স্মোক মিটার দিয়ে গাড়ি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ সনাক্ত করা হয় অভিযানে। মানিক মিয়া এভিনিউতে কালো ধোয়া নির্গত করা টিএনটির জিএমের গাড়িসহ ৭টি গাড়িকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে লাব্বাইক পরিবহনের একটি গাড়ি জব্দ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বেশ কিছু যানবাহনকে জরিমানা ও জব্দ করা হয়েছে। কালো ধোঁয়ার সঙ্গে দূষিত পদার্থ, সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সিসাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এছাড়া শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তি ব্যাহত হচ্ছে কালো ধোয়ায়। তাই এসকল যানবাহনের চলাচল ঠেকাতে এ অভিযান চলছে।

বায়ু দূষণে দম ফেলা দায়

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলের তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু বায়ু দূষণ জনিত কারণে। বাংলাদেশে বছরে মারা যায় প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। এশিয়ায় মারা যাওয়ার সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। বিশ্বে প্রতি ৮ জনের একজন মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ।

যে ১০টি রোগের কারণে বাংলাদেশে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এর পাঁচটিই বায়ু দূষণজনিত রোগ। পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বায়ু দূষিত দেশ বাংলাদেশ, আর দিল্লির পর দূষিত শহর ঢাকা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শহুরে জনগণ এবং শিশু, দারিদ্র্য এবং বয়স্ক নাগরিকেরা। আগে বায়ু দূষণের সবচেয়ে বড় সোর্স ছিল ইট ভাটা। এখন সেটি নেই। এখন যানবাহন ও কারখানার দূষণ থেকে হচ্ছে।