অবশেষে মুক্ত হয়ে বনে ফিরেছে চিতা বিড়ালটি

বনে ফেরত যাওয়া চিতা বিড়ালটি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে যত্রতত্র লোকালয় গড়ে ওঠায় বন্যপ্রাণীদের বিচরণ ক্ষেত্র দিন দিন কমছে। এতে প্রায়ই মানুষের নজরে আসছে বিড়াল প্রজাতির বন্যপ্রাণীরা। ২৮ মে, বৃহষ্পতিবার এ দেশের ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলায় একটি চিড়া বিড়াল বিচরণকালে মানুষের হাতে বন্দী হয়। তবে বনবিভাগ প্রাণীটিকে উদ্ধার করে আবারো বনে ফিরিয়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, ওই উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৈরাগপুর গ্রামের কিছু মানুষ বন্দী করে চিতা বিড়ালটি। পরে স্থানীয়রা বনবিভাগে খবর দেন। পরে বন কর্মকর্তাদের কাছে চিতা বিড়ালটি হস্তান্তর করেন তারা। উদ্ধার হওয়া প্রাণীটিকে পার্শ্ববর্তী পরশুরাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত বন বিভাগের সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বনবিভাগ।

বাংলাদেশে চিতা বিড়াল একটি দুর্লভ প্রাণী। খুব সহজে এদের দেখা যায় না। খাবারের খোঁজে চিতা বিড়ালটি লোকালয়ে এসেছিল বলে ধারণা করেন বনবিভাগের এক কর্মকর্তা।

বন্যপ্রাণী গবেষকরা জানান, চিতা বিড়াল নিশাচর প্রাণী ও বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির একটি প্রাণী। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সুন্দরবন এলাকায় প্রাণীটি দেখা যায়। ছোট ছোট প্রাণী শিকার করে খেয়ে থাকে চিতা বিড়াল। তবে এটিকে চিতা বাঘ মনে করে অনেক এলাকায় প্রাণীটিকে মেরে ফেলা হয়। যদিও এই প্রাণীটি মানুষের কোন ক্ষতি করে না। তবে গৃহপালিত হাঁস-মুরগি বা ছোট প্রাণী শিকার করার কারণে মানুষ বিড়াল প্রজাতিকে সহ্য করতে পারে না।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে দেখা মেলে চিতা বিড়াল। তবে বৈশ্বিক নানা কারণে বিড়াল প্রজাতিটি এখন বিলুপ্তির মুখে। ২০০২ সাল থেকে প্রকৃতি ও প্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থা- আইইউসিএন বিলুপ্তি প্রায় প্রাণীর লাল তালিকাভুক্ত করেছে চিতা বিড়ালকে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী চিতা বিড়াল সংরক্ষিত প্রাণী। পাশাপাশি ভারতসহ দক্ষিণ দেশগুলোতে এই প্রজাতির বিড়াল সংরক্ষিত প্রাণী।