গেলো চার বছরে ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৪১টি। আর ভারত অংশে সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে ১২টি। নতুন বাঘশুমারিতে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
২৯ জুলাই সোমবার বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘশুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। “ভারত এখন বাঘের অন্যতম বৃহত্তম এবং সুরক্ষিত আবাসস্থল,” উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাঘের শুমারি অনুসারে ভারতে গত চার বছরের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বেশি বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুমারি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের শুমারি অনুযায়ী দেশে ২২২৬টি বাঘ ছিল। এবার বেড়ে হয়েছে ২৯৬৭। ভারতে বৃদ্ধির হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে সুন্দরবনে ৭৬টি বাঘ ছিল। এবারের শুমারিতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৮৮টি, বৃদ্ধির হার প্রায় ১৬ শতাংশ।
ভারতে সব থেকে বেশি বাঘ আছে মধ্যপ্রদেশে ৫২৬টি, এরপরেই কর্নাটক ৫২৪টি। অবশ্য আগের শুমারিতেও শীর্ষেই ছিল কর্নাটকই। এবারের শুমারিতে উত্তরবঙ্গে ও মিজোরামে বাঘ পাওয়া যায়নি। এর আগে উত্তরবঙ্গে তিনটি বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
আগের শুমারির থেকে ২৩টি বেড়ে অসামে এখন ১৯০টি বাঘ। অরুণাচলে ২৯টি। ছত্তীসগঢ়ে ৪৬ থেকে কমে হয়েছে ১৯টি বাঘ।
অরুণাচলের প্রধান মুখ্য বনপাল এম সূর্যপ্রকাশের দাবি, ‘‘খুব কম এলাকায় সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আরো বাঘ আছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে সমীক্ষা করা যায়নি।’’
সুন্দরবনে বাঘ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন দফতরের সঙ্গে জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি (জেএফএমসি) ভাল কাজ করেছে, জানান সুন্দরবন বাঘ প্রকল্প দফতরের ফিল্ড ডিরেক্টর নীলাঞ্জন মল্লিক।
“নাইলনের জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরে দেয়াতে লোকালয়ে আসতে পারছে না বাঘ, সুরক্ষাও বেড়েছে,’’ উল্লেখ করেন তিনি।
বন দফতর বলছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যৌথভাবে বাঘশুমারি চালানো হয় ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানে।বাঘ গণনায় ক্যামেরা-ট্র্যাপিংয়ের পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয় বাঘের মলমূত্র এবং পায়ের ছাপের নমুনাও। পায়ের ছাপ দিয়ে বাঘ গণনা নির্ভুল হয় না। তাই এবার ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত পদ্ধতি।
On #InternationalTigerDay PM @narendramodi releases trailer of movie “Counting Tigers”.
— PIB India (@PIB_India) July 29, 2019
Check out ⬇️ the procedure of counting tigers in India@PrakashJavdekar @moefcc pic.twitter.com/ci4eS0U3fr