চাঁদের পথে ভারতের ‘বিক্রম’

চন্দ্রযান-২ উড়ে যাওয়ার মুহুর্ত্ ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবার ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বারের মতো চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপন করে সফল হয়েছে ভারত। ভারতীয় মহাকাশ যান সংস্থা ইসরো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপন করা হয়।

রকেটটি উৎক্ষেপণের সময় দূরদর্শন টিভি তা সরাসরি সম্প্রচার করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও টিভিতে তা দেখেছেন। টুইটার পোস্টে সফল উৎক্ষেপণের জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানান মোদী।

এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানান ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবনও। সামাজিক মাধ্যমসহ সকল জায়গায় এটিকে ‘গর্বের মুহূর্ত’ হিসেবেও অবহিত করা হচ্ছে।

চাঁদে যেকোন অভিযান সম্পন্ন করা যথেষ্ট জটিল এবং কঠিন। প্রযুক্তি ব্যবহার করাই বিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্টদের বড় চ্যালেঞ্জ। সর্ব প্রথম যে অভিযান পরিচালিত হয়েছিল সেটিতেও আমেরিকার স্পেসশিপ চাঁদের নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবতরন করেছিল।

পর্যায়ক্রমে চীন ও রাশিয়ার ল্যান্ডার উত্তর মেরুর কাছাকাছিতে অবতরন করলেও চাঁদের দক্ষিন দিকে অবতরণ করবে ভারতের উৎক্ষেপিত ল্যান্ডারই।

ভারতের ‘চন্দ্রযান-২’। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে গেলো ১৫ জুলাই রকেটটি উৎক্ষেপনের নির্ধারিত সময়ের ৫৬ মিনিট আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে স্থগিত করা হয় অভিযান।

চাঁদের দক্ষিণ দিকে সূর্যের আলোর কম থাকার কারণে সেখানকার সূত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকে যেকোন কিছু পেলেই তা ভারতসহ যেকোন দেশের জন্য হবে সংগৃহীত প্রথম সূত্র।

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রযান-২ বহনকারী রকেটটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় চন্দ্রযানকে পৌছে দেবে।

রকেটের ওজন ৬৪০ টন এবং চন্দ্রযান- ২’র ওজন ৩ হাজার ৮০০ কিলোগ্রাম। যদিও নাসার মতো শক্তিশালী যান ভারতের নেই, তাই ধীরে ধীরেই যানটি চাঁদে পাঠানো হবে।

নির্দিষ্ট দুরত্বে যাওয়ার পর চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে যাবে রকেটটি। এরপর গতি নিয়ন্ত্রণ করে এটি চাঁদের ৭০ ডিগ্রি অক্ষাংশে নামানো হবে।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার চাঁদের দুইটি গহ্বরের মাঝে নামবে। গহ্বর দুটির নাম মানজিসাস সি এবং সিমপেলিয়াস এন।বিক্রম নামের ল্যান্ডারটি কার্যকরভাবে চাঁদে অবতরনে সক্ষম বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের।