বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে হলে গোশত খাওয়া কমাতে হবে, এমনই পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক গবেষকরা।গতকাল ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘ইন্টারন্যাশারাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি)’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের এক চতুর্থাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হয় গবাদি পশু উৎপাদনে ব্যবহৃত জমির খামার থেকে। কারণ মাংস জাতীয় খাবারের চাহিদা বাড়ার ফলে জমি থেকে কার্বনও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। এতে বায়ুমণ্ডল দিন দিন বেশি উষ্ণ হচ্ছে।
প্রতিবেদনে গবাদি পশুর চাহিদা ও খামার কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন জাতিসংঘের গবেষকরা।
“যেভাবেই পারি আমাদের গ্রিন হাউস গ্যাসটাকে কমানো হবে। নইলে আগামীতে তাপমাত্রা যে পরিমাণে বাড়বে তা আর সহ্য করা যাবে না,” উল্লেখ করেন গবেষক ও আইপিসিসির সদস্য সালিমুল হক।
গবেষকদের মতে, মানুষের উচিত শাক বা লতা-পাতার মতো উদ্ভিদজাত খাদ্য গ্রহণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব কমানোতে ভূমিকা রাখা।
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মাংস ও দুগ্ধজাত খাদ্য তৈরিতে নিবিড় চাষাবাদ ক্রমশই বাড়াচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা।
সালিমুল হক বলেন, “যদি মাংস খাওয়া কমানো যায়, তবে কমবে খামারের সংখ্যাও। এতে কমবে কার্বন নি:সরণের মাত্রাও।
“বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়াও স্বাস্থ্যকরা নয়। গোশত এবং দুধ নিয়মিত পান পশ্চিমা মানুষদের সংস্কৃতিরই অংশ,” যোগ করেন তিনি।
তবে মাংস একেবারেই খাওয়া বন্ধ না করে আপাতত কমানোর ওপরেই জোর দিয়েছেন গবেষকরা।