নতুন করে আমাজন বনাঞ্চলের সহস্রাধিক স্থানে আগুন ছড়িয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে দেশটির ছয়টি রাজ্য। এএফপির সাংবাদিকরা জানান, বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ রকমের আগুনের কুণ্ডলী তৈরি হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চেয়েছে রাজ্যগুলোর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার পরিবেশমন্ত্রী রিকার্ডো সেলেস জানান, সেনা সহায়তা চাওয়া রাজ্যগুলো হচ্ছে পারা, রন্ডোনিয়া, রোরাইমা, টোকানটিন্স, একর এবং ম্যাটো গ্রোসো।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ৪৪ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজেভেদো। যেসব রাজ্য থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে, সেই রাজ্যগুলোতে যাচ্ছে সেনা সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে দুইটি সি-১৩০ হারকিউলিস এয়ারক্রাফট ব্যবহার করবে সেনাবাহিনী। উড়োজাহাজগুলো ১২ হাজার লিটার পানি ছিটাতে সক্ষম।
ফার্নান্দো আজেভেদো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার কথা বললেও বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে কোনও সহায়তা দিচ্ছে না।
অ্যামাজনকে বাঁচাতে বিমান থেকে পানি ঢালার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে সুপারট্যাংকার বোয়িং বিমান ৭৪৭-৪০০ ভাড়া করারও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে এই অভিযান। আগুন নিয়ন্ত্রণে সকল পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হবে, জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
গত ১৫ আগস্ট থেকে জ্বলছে অ্যামাজন জঙ্গল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন মতে, ভয়াবহ এ আগুন আদতে দুর্ঘটনা নয়। গবাদি পশুর জন্য চারণভূমি পরিষ্কার করতে আগুন লাগানো হচ্ছে। এতে উৎসাহ দিচ্ছেন দেশটির উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো।
আগুন লাগানোর ঘটনায় ব্রাজিল সরকারের উদ্যোগ দেখা না যাওয়াতে দেশটি থেকে গো-মাংস আমদানি নিষিদ্ধের হুমকি দেয় ইউরোপের কয়েকটি দেশ। তবে ইইউ’র অর্থনৈতিক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত অ্যামাজনের সুরক্ষায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।