বন্যহাতির সুরক্ষায় ঐতিহাসিক রিটের আদ্যপান্ত

বাংলাদেশের শেরপুরের বনাঞ্চলে বুনো হাতি। ছবি: শাহানুল করিম চপল, বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী।

গেল কয়েক বছর ধরে হাতি হত্যা ও মারা যাওয়া নিয়ে সংবাদ প্রচার করে আসছি। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২২টি বন্য এশিয়ান হাতির মৃত্যুর খবর প্রচার করি। ওই বছর ডিসেম্বরে করোনা মহামারি সময়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে আমরা একটি মানববন্ধন করেছিলাম। এতে হাতি হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলেছিলেন বন্যপ্রাণী গবেষক, এক্টিভিস্ট, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু এতেও লাভ হয়নি, নিয়মিত চলছিল হাতি হত্যা ও মৃত্যুর ঘটনা।

হাতি সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরি ও সংবাদ প্রচারে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিয়ে নিয়মিত সংগ্রহ করে আসছি তথ্য-উপাত্ত। ২০২১ সালের অক্টোবরে খবর পাই চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবিস্থিত কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকা থেকে হাতি সরিয়ে নিতে বনবিভাগকে চিঠি দেয় কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারি দেশে হাতির করিডোরগুলোতে এখন গড়ে উঠেছে লোকালয়, আবাদের জমি, শিল্পজোন ও নানা স্থাপনা। তাই হাতির করিডোর কীভাবে সুরক্ষিত করা যায় এবং দখলে কারা ইত্যাদি নিয়ে একটি প্রতিবেদনের কাজ করছিলাম।

এরইমধ্যে খবর হতে থাকে একের পর এক হাতি মৃত্যুর ঘটনা। তখন বিষয়টি ভাবনার কারণ হয়ে উঠে- এভাবে চলতে থাকলে তো এ দেশে এশিয়ান বুনো হাতি বিলুপ্ত হতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ আইইউসিএন ২০১৬ সালে ঘোষণা করেছিল সবমিলে ২৬৮টি হাতি। আর গত কয়েক বছর ধরে যে হারে হাতি মেরে ফেলা হয়েছে, এখন হাতির ওই সংখ্যাও কমছে নি:সন্দেহে। ভাবছিলাম অবশিষ্ট হাতিগুলো টিকিয়ে রাখতে হলে শক্ত একটি উদ্যোগ দরকার। কিন্তু কে সেই উদ্যোগ নিবে বা কারা এটির জন্য জোরালো প্রতিবাদ জানাবে? আশপাশে কয়েকজন এক্টিভিস্ট বন্ধু ছাড়া আর কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

বিষয়টি নিয়ে আলাপ করি আলোকচিত্রী বন্ধু খান ফাতিম হাসানের সঙ্গে, যিনি দীর্ঘদিন বন্যপ্রাণী বিষয়ে ফটোগ্রাফী করছেন এবং বাঘের ছবি তুলে ফটো এক্সজিবিশনের মাধ্যমে বাঘ সংরক্ষণের বার্তা প্রচার করছেন। এজন্য পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্ট্রেটের আইভিএলপি- এলোমনাই স্বীকৃতিও। খান ফাতিম হাসান একজন আইনী পরিবারের সন্তান। তার বাবা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রথিত যশা এডভোকেট খান সাইফুর রহমান।

ফাতিম হাসানের একমাত্র ভাই খান খালিদ আদনানও একজন তরুণ এবং প্রতিশ্রুতিবান ব্যারিস্টার। ইতিমধ্যে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনিরের মামলাটিসহ বিভিন্ন আলোচিত মামলার পরিচালনা করে সফল একজন আইনজীবী। বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করতেও আগ্রহী তিনি।

গত বছর শেরপুর ও চট্টগ্রামে ধারাবাহিক হাতি হত্যার ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল, তখন আর বসে থাকতে পারিনি। চট্টগ্রাম থেকে চলে যাই ঢাকায়। দেখা করি ফাতিম হাসান ও তার ছোট ভাই ব্যারিস্টার খালিদ আদনানের সঙ্গে। খান ফাতিম অবশ্য শুরু থেকেই জানায়- হাতি রক্ষায় আইনী যে কোন উদ্যোগে সঙ্গি হবেন এবং উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে হাতিকে সুরক্ষা দেয়া যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা করি। আমরা উপলব্দি করলাম হাতি হত্যা বন্ধ করতে পারে একমাত্র সুরক্ষিত করিডোর। তবে তা কেন সুরক্ষিত করা হচ্ছে না এ নিয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়া যায়। কারণ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- বন্যপ্রাণীর করিডোর গেজেট করে নিশ্চিত করতে হবে বন বিভাগকে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।

সবকিছুই ঠিকঠাক- তবে দরকার নি:স্বার্থ সহযোগী মানুষ…। আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে কারা আছেন বা কারা থাকবেন? এ সময় খান ফাতিম বলেন- এমন একজন মানুষ দরকার যাকে সকলেই চিনেন ও হাতি বিষয়ে ধারণা রাখেন এবং তিনি বিবেকবানও। আমার মনে এলো একজনের কথা। তিনি বন্ধু আদনান আজাদ আসিফ। যাকে সব সময় একজন সত্যিকার অর্থে বন্যপ্রাণীদের প্রতি নিবেদিত প্রাণ বলে বিশ্বাস করি।

সময়ক্ষেপণ না করেই দ্রুতই তাকে ফোন করি এবং এ সংক্রান্ত রিটের বাদী হবেন কিনা জানতে চাই। সানন্দে আমাদের সঙ্গে হাতি বাঁচানোর লড়াইয়ে সঙ্গি হতে রাজি হন। এরপর আমরা একসঙ্গে ব্যারিস্টার খালিদ আদনানে সঙ্গে বসে বিস্তারিত আলাপ করাসহ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করি। সে সময় ফাতিম হাসান বলেন, আরো একজন বাদি থাকলে হাতির জন্য শক্তি হবে। সে সময় আমি আদনান আজাদের স্ত্রী প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী ফারজানা রিক্তার বিষয়ে প্রস্তাব করলে আদনান এতে সম্মতি দেন।

বলে রাখা প্রয়োজন আমরা যখন আইনী প্রক্রিয়া নিয়ে এগুচ্ছিলাম তখন দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন, এক্টিভিস্ট, সাংবাদিকসহ সচেতন মানুষেরা হাতি হত্যার বন্ধের উদ্যোগ নিতে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। অনেকে যোগাযোগ করছিলেন করণীয় নিয়ে-আলোচনা হচ্ছিল প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়ার বিষয়টিও। আর আমরা ভাবছিলাম আইনী প্রক্রিয়াটি নির্ভুল ও দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে। যাতে কোন বাধা না আসে সেজন্য অনেকটা নীরবেই প্রত্যেকটি পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।

হাতি রক্ষায় রিটে অংশ নেয়া পাঁচজন- বাম দিক থেকে খান ফাতিম হাসান, অমিনুল ইসলাম মিঠু, খান খালিদ আদনান, ফারজানা রিক্তা ও আদনান আজাদ আসিফ।

পর দিন আদনান আজাদের সহধর্মীনী ও আমাদের প্রিয় ভাবী অভিনেত্রী ফারজানা রিক্তাসহ আমাদের আলোচনা হয় ব্যারিষ্টারের অফিসে। সিদ্ধান্ত হয় – খান ফাতিম, ফারজানা রিক্তা ও আদনান আজাদ রিটের বাদি হবেন। আর সার্বিক সহযোগিতায় থাকবো আমি ও বেঙ্গল ডিসকাভার। যদিও শুরুতে বেঙ্গল ডিসকাভারের পক্ষে আমিই রিট পিটিশনের প্রথম বাদি হতে ব্যারিস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু পেশাগত ও ব্যক্তিগত কারণে পরবর্তীতে রিট সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত সম্ভব হবে না- তাই আমি নেপথ্যে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। তবে কাগজে-কলমে বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন আদনান আজাদ এবং খান ফাতিম হাসান ও ফারজানা রিক্তা।

উল্লেখ করা প্রয়োজন যেহেতু রিটটির উদ্যোগ আমার হাত ধরেই, তাই নানা প্রচেষ্টায় তথ্য-উপাত্ত বিশেষ করে আইনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকারি কাগজ ও ডকুমেন্টস, গবেষণাপত্র তুলে দিই ব্যারিস্টারের হাতে। বন্ধু আদনান আজাদ আসিফ তুলে ধরেছিলেন ওই সময়ে শেরপুরের বনে কী কী প্রক্রিয়ায় হাতি হত্যার ষড়যন্ত্র করছিল দুষ্কৃতকারীরা এবং সেগুলোর ছবি-ভিডিওসহ। সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আমাদের সমব্যাথি ভাইয়ের মতো ব্যরিস্টার খালিদ আদনানও নিজের সহযোগী ব্যারিস্টার ও সহকর্মীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো বন্যপ্রাণীর বিষয়ক আইনগুলো নিয়ে রীতিমত গবেষণায় নেমে পড়েন।

ব্যারিস্টার খালিদ আদনানের অফিসে রিট সংক্রান্ত আলোচনায়।

মামলার প্রয়োজনে একের পর এক হাতি হত্যার তথ্য, মামলার কাগজ, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিবেদন, প্রমাণ ও নথি-পত্র চাইতে থাকেন। তাদের লক্ষ্য একটাই- যথাযথ নথি-পত্রের মাধ্যমে আদালত থেকে একটি কার্যকর নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে আসা।

রিটের সফলতার তাগিদে পুরো বিষয়টি গোপনীয়তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। এবং ব্যাখ্যাও করেন কেন অতীতে বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা রিট বাতিল হয়ে যায়। তবে শ্বাসরুদ্ধকর একটানা ৭২ ঘন্টা নানা বিচার-বিশ্লেষণ ও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তৈরি হয় রিটের ফাইল। এরপর শুধু মহামান্য আদালতে দাখিলের পালা। সিদ্ধান্ত হয় রোববার দাখিল করা হবে রিটের আবেদন।

২০২১ সালের ২১ নভেম্বর, রোববার সকালে আমরা চারজন একটি টিম হিসেবে হাইকোর্টে ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনানের চেম্বারে মিলিত হই। আইনী প্রতিষ্ঠান খান সাইফুর রহমান এন্ড এসোসিয়েটস’র তত্বাবধানে আমরা রিট পিটিশনটি দাখিল করি। বলে রাখা প্রয়োজন দাখিল করার কিছুক্ষণ পর খবর এলো কক্সবাজারে আরেকটি হাতির দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বিষন্ন মন নিয়ে আমরা কোর্ট থেকে ফিরে আসি। ওইদিন সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনান জানালেন,পরদিন অর্থ্যা সোমবার প্রাথমিক শুনানী হতে পারে। আমরা যেন সকালে কোর্ট প্রাঙ্গনে উপস্থিত থাকি।

২২ নভেম্বর, সোমবার বাংলাদেশের বুনো হাতিদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আমরা আবেদনকারীরা বিশ্বাস করি- আজ বন্যহাতিদের অস্তিত্ব রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্ট প্রাথমিক নির্দেশনা দিবেন। এদিন সকালেই আমরা চারজন পৌছে যাই হাইকোর্টে। শুরু হয় অপেক্ষার পালা… এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ- মধ্যাহ্নভোজের পর রিট পিটিশন নম্বর নম্বর- ১০৩ আদালতে উপস্থাপিত হলো। রিটকারীদের মধ্যে আমিই আদালতের ভেতরে শুনানীতে উপস্থিত ছিলাম। মহামান্য বিচারপতি এন এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুরু হয় শুনানী।

শেরপুরে বন্যহাতির মরদেহ। ছবি: শাহানুল করিম চপল, বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী।

আমাদের আইনজীবী ব্যারিষ্টার খান খালিদ আদনান সংবিধান ও বন্যপ্রাণী আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আদালতের কাছে আমাদের আর্জি তুলে ধরেন। শুনানীর সময় আইনজীবী যখন হাতিদের অবস্থা তুলে ধরছিলেন তখন আমার দু’চোখ বেয়ে আনন্দঅশ্রু ঝরছিল। কারণ হাতিদের প্রতি যে নির্মমতা হয়েছে তা জানছেন মহামান্য আদালত। আমি আশাবাদী ছিলাম- আদালত আমাদের খালি হাতে ফেরাবেন না রাষ্ট্রের বিজ্ঞ বিচারকগণ। নি:শ্চয় অবলা হাতিগুলোর জীবন রক্ষায় আমাদের আবেদন আমলে নিবেন।

বিজ্ঞ বিচারকগণ ব্যারিস্টার খান খালিদ আদনানের পেশ করা আজি মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এরপর নানা তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে মহামান্য বিচারকগণ রিট মামলার প্রাথমিক শুনানীর আদেশ প্রদান করেন। আদেশে মহামান্য আদালত হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। বন ও পরিবেশ সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি নির্দেশগুলো দেওয়া হয়। এছাড়া, নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলেন বিচারক। আদেশে হাতি চলাচলের এলাকাগুলোতে মানুষের প্রবেশ বন্ধ এবং এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) চিহ্নিত হাতিদের চলাচলের জন্য ১২টি করিডোরকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানাতে চার সপ্তাহের সময়ও বেধে দিয়েছিলেন। রুলে, আদালত বিবাদীকে হাতি হত্যা বন্ধে তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার ব্যাখ্যা করতে বলেছিলেন। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশগুলো বাংলাদেশের এশিয়ার বুনো হাতিদের টিকিয়ে রাখা ও অধিকার আদায়ের রক্ষায় ঐতিহাসিক সূচনা।

বলা যায়, এই রিট পিটিশনের পর থেকে সারা দেশে হাতি হত্যা অনেকটাই কমে এসেছে। বন বিভাগও বিভিন্ন স্থানে হাতি হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে শুরু করেছে। এরইমধ্য আদালতও কয়েকটি মামলার আসামীদের জেল-হাজতে প্রেরণ করেছেন। যা বাংলাদেশে বুনো এশিয়ান হাতি সংরক্ষণে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আজ বিশ্ব হাতি দিবস। বাস্তুতন্ত্রে প্রকৃতির বড় নির্মাতা হাতির প্রয়োজনীতা, তাদের সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে ২০১২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে দিবসটি।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, বেঙ্গল ডিসকাভার।