বাংলাদেশে এশিয়ান বন্যহাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বন ও পরিবেশ সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্য প্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে।
২২ নভেম্বর, সোমবার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা কর্মী আদনান আজাদ, খান ফাতিম হাসান ও ফারজানা ইয়াসমিন আদালতে রিট আবেদনটি করেন। রিটে বেঙ্গল ডিসকাভারের পক্ষে সার্বিক সহযোগিতা করেন বন্যপ্রাণী বিষয়ক সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মিঠু।
আদেশে হাতি চলাচলের এলাকাগুলোতে মানুষের প্রবেশ বন্ধ এবং এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) চিহ্নিত হাতিদের চলাচলের জন্য ১২টি করিডোরকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংরক্ষিত করিডোর হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানাতে চার সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। রুলে, আদালত বিবাদীকে হাতি হত্যা বন্ধে তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার ব্যাখ্যা করতে বলেছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন বিভাগের প্রধান সংরক্ষক; বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ১৬ কর্মকর্তাকে রুলের বিবাদী করা হয়েছে।
হাতির নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় বন বিভাগ থেকে হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত ১২টি করিডর সংরক্ষণে নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট করা হয়।