বঙ্গোপসাগরে গবেষণার জন্য একটি জাহাজ ভাড়া করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘মৎস সপ্তাহ ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি জানান, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে বাংলাদেশ। “আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। এখন এই সমুদ্র সম্পদটা অর্থনৈতিক কাজে লাগাতে হবে। এখানে ৪৩০ প্রকার মৎস সম্পদ রয়েছে। সেগুলোকে আহরণ করে আমরা দেশকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে পারব,” বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের খনিজ ও অন্যান্য সম্পদ নিয়ে গবেষণার জন্য একটি জাহাজ ভাড়া করার কথাও চিন্তা করা হচ্ছে। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের জরিপ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, সামুদ্রিক মৎস্যচাষ, উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ করা হবে। অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য যেমন কাঁকড়া, ওয়েস্টার, কোরাল মাছের চাষ, সী-উইড ইত্যাদির চাষ প্রযুক্তিও সম্প্রসারণ করা হবে।
ব্লু ইকোনমি নীতিমালার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের সম্পদ আহরণ এবং এরমধ্যে মৎস একটা, যা আমাদের অর্থনীতিতে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি সেদিকে আমরা ইতোমধ্যে দৃষ্টি দিয়েছি। এজন্য জরিপ জাহাজ ‘আর ভি মীনসন্ধানী’ কেনা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে টুনা জাতীয় মাছ আহরণে ৯টি লং লাইনার ও ৭টি পার্স সেইনার প্রকৃতির ফিশিং লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।